প্রথম বৈঠকে ট্রাম্প-কিমের শরীরী ভাষা কেমন
ঐতিহাসিক বৈঠকের শুরুতেই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনকে একে অপরের ওপর প্রভাব ফেলার চেষ্টা করতে গেছে। শরীরী ভাষা নিয়ে কাজ করা বিশেষজ্ঞরা এমনই জানাচ্ছেন।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক শরীরী ভাষার ওপর বিশেষায়িত ইনফ্লুয়েন্স সলিউশনস নামের প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কারেন লেয়ং বলেন, সাক্ষাতের প্রথম ৬০ সেকেন্ডে দেখা গেছে, দুই নেতাই নেতৃত্ব নেওয়ার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, ‘তাঁদের করমর্দন সমকক্ষ ব্যক্তিদের মধ্যে হয়েছে বলে আমার মনে হয়েছে। ট্রাম্পকে এ ব্যাপারে খুব সচেতন থাকতে দেখা গেছে। তাঁর কথাবার্তা অগ্রাধিকার দেওয়া হোক, তা তিনি চেয়েছেন এবং বৈঠকের নেতা তিনিই, তা প্রকাশ করতে দেখা গেছে।’
কথাবার্তার বেশির ভাগই ট্রাম্প বলেছেন এবং কিমকে মনোযোগ দিয়ে শুনতে দেখা গেছে। ডোনাল্ডের কাঁধ চাপড়ে দিতে দেখা গেছে কিমকে। এটা অপর পক্ষের ওপর নিজের প্রভাবকে বোঝায়।
কিমের চেয়ে দ্বিগুণ বয়সী ট্রাম্প হোটেলের লাইব্রেরির দিকে পথ দেখিয়ে উত্তর কোরিয়ার নেতাকে নিয়ে গেছেন। সেখানে একান্তে বৈঠক করেছেন। পথ দেখানোর সময় কিমের পিঠে হাত রাখেন ট্রাম্প।
শরীরী ভাষার বিশেষজ্ঞ লিয়ং আরো বলেন, বসে থাকার সময় দুই নেতার স্নায়বিক দুর্বলতা ঢেকে রাখা কঠিন ছিল। ট্রাম্পের ছিল তির্যক হাসি, হাত উশখুশ করছিল এবং কিম ঝুঁকে ছিলেন ও মেঝের দিকে তাকিয়েছিলেন। কিম কথা বলছেন দোভাষীর সাহায্যে।
বৈঠকের আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, প্রথম মিনিটেই তিনি বুঝতে পারবেন, উত্তর কোরিয়ার নেতা আসলে শান্তি আলোচনার ব্যাপারে মনোযোগী কি না।
সকালে সিঙ্গাপুরের সেন্তোসা দ্বীপের কাপেলা হোটেলে ট্রাম্প ও কিম বৈঠকে বসেন। পরে তাঁরা আলোচনার কক্ষ থেকে বেরিয়ে আসেন। কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি স্থাপন এবং পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে দুই নেতা আলোচনা করছেন বলে জানা গেছে।