ট্রাম্প-কিম বৈঠক, সর্বশেষ যা জানা গেল
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন একান্ত বৈঠক শেষে বের হয়ে এসেছেন। এর মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক বৈঠকটি ইতিবাচক হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে সিঙ্গাপুরের সেন্তোসা দ্বীপের কাপেলা হোটেলে দুই নেতা বৈঠক করেন। তার আগে গণমাধ্যমে সামনে করমর্দন করেন তাঁরা।
স্থানীয় সময় সকাল ১০টার ঠিক আগে আগে কাপেলা সিঙ্গাপুর হোটেলের লাইব্রেরি থেকে দুই নেতা বের হন। এখানে তাঁরা ৪৫ মিনিট কথা বলেন। সেখান থেকে বেরিয়ে বারান্দায় যান এবং সংবাদকর্মীদের উদ্দেশে হাত নাড়েন।
কেমন লাগছে—জানতে চাইলে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, তাঁর খুব ভালো লাগছে।
কিম বলেন, ‘এখানে আসাটা সহজ ছিল না। অতীত আমাদের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ শৃঙ্খলিত করে রেখেছিল এবং পুরোনো বিদ্বেষ ও অভ্যাস সামনে এগিয়ে চলার পথে প্রতিবন্ধক হয়ে ছিল। তবে আমরা সবকিছু উত্তরণ করতে পেরেছি এবং আজ এখানে এসেছি।’
কিম দোভাষীর মাধ্যমে ট্রাম্পকে বলেন, ‘সারা পৃথিবীর মানুষ এ মুহূর্তে আমাদের দেখছে। পৃথিবীর অনেক মানুষই হয়তো ভাবছে, এটা কল্পকাহিনী, বিজ্ঞান কল্পবাহিনীর চলচ্চিত্র।’
দিনটা শুরু হয় ঐতিহাসিক করমর্দনের মধ্য দিয়ে। সকাল ৯টা ৩ মিনিটে বিপরীত দিক থেকে ট্রাম্প ও কিম ধীর পদক্ষেপে কাপেলা হোটেল প্রাঙ্গণে প্রবেশ করেন। এরপর মুখোমুখি দাঁড়ান, পেছনে উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের পতাকা। ১২ সেকেন্ডের জন্য করমর্দন করেন।
এই মুহূর্তটার ক্লান্তিকর পরিশ্রম করতে হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, উত্তর কোরিয়া ও সিঙ্গাপুরের সংশ্লিষ্টদের।
এরপর বসে দুই নেতা হালকা কিছু কথাবার্তা বিনিময় করেন। সেখান বারান্দা ধরে চলে যান লাইব্রেরিতে। একান্তে বৈঠকে তাঁরা ৪৫ মিনিট কথা বলেন। সেখানে কেবল দোভাষী উপস্থিত ছিলেন। ট্রাম্প ও কিম চলে যান আরেক কক্ষে। সেখানে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দুই দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
দুই দেশের প্রতিনিধি দল প্রায় ৪ দশমিক ৩ মিটার লম্বা ও ৮০ বছর পুরোনো কাঠের টেবিলে বৈঠক করেন।
মার্কিন প্রতিনিধি দলে আছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও, চিফ অব স্টাফ জন কেলি ও ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার জন বল্টন। হোয়াইট হাউস প্রেস সেক্রেটারি সারাহ স্যান্ডার্স, ফিলিপাইনে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সুং কিম ও ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের এশিয়াবিষয়ক সিনিয়র পরিচালক ম্যাট পটিংগার প্রতিনিধি দলে রয়েছেন।
উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধি দলে রয়েছেন ক্ষমতাসীন দল কোরিয়ার ওয়ার্কার্স পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান কিম ইয়ং চল, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের পরিচালক রি সু ইয়ং, পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি ইয়ং হো ও উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী চো সন হুই।