বান্ধবী ও সহকর্মীকে হত্যার পর মার্কিন অধ্যাপকের আত্মহত্যা
যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যে গতকাল সোমবার বান্ধবী ও সহকর্মীকে গুলি করে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছেন ডেল্টা স্টেট ইউনিভার্সিটির এক অধ্যাপক। এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে ত্রিভুজ প্রেমের কাহিনী রয়েছে বলে ধারণা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।
ওয়াশিংটন কাউন্টির শেরিফের কার্যালয় ও স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, ডেল্টা স্টেট ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে সকালে আমেরিকার ইতিহাসের সহকারী অধ্যাপক ইথান স্মিটকে (৩৯) গুলি করে হত্যার পর ভূগোল ও সামাজিক বিজ্ঞানের প্রশিক্ষক শ্যানন ল্যাম্বকে (৪৫) পুলিশ ধাওয়া করে। এ সময় তিনি গাড়ি থেকে নেমে রাস্তার পাশে কিছু কাঠের মাঝে লুকিয়ে পড়েন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ প্রধান লিন বুফোর্ড বার্তা সংস্থা এপিকে জানান, বিকেলে ল্যাম্বকে আহত অবস্থায় পাওয়ার আগে একটি গুলির শব্দ শুনতে পাওয়া যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইথান স্মিটকে হত্যার ঘটনায় আজ মঙ্গলবার ক্লাস বাতিল করা হয়েছে এবং সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বালিয়ে তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করা হবে।
পুলিশের ধারণা, ল্যাম্ব আত্মহত্যার কয়েক ঘণ্টা আগে স্মিটকে হত্যা করে এবং তার আগে ক্লিভল্যান্ডের বিশ্ববিদালয়ের ক্যাম্পাস থেকে ৩০০ মাইল দূরে গুটিয়ার এলাকার বাড়িতে তাঁর বান্ধবী অ্যামি প্রেন্টিসকে (৪১) গুলি করে হত্যা করে। স্মিটের সঙ্গে প্রেন্টিসের সম্পর্ক চলছিল বলে ল্যাম্বের ধারণা ছিল।
ল্যাম্ব আত্মহত্যার এক ঘণ্টা আগে ক্লিভল্যান্ডের পুলিশপ্রধান চার্লস বিংহাম এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, ল্যাম্বের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যোগাযোগ হয়নি।
ফক্স নিউজের খবরে বলা হয়, সোমবার স্মিটকে হত্যার পর ক্যাম্পাস বন্ধ করে পুলিশ বন্দুকধারীকে গ্রেপ্তারে তল্লাশি চালায়। বন্দুকধারী এত দ্রুত কীভাবে ক্যাম্পাস ভবন থেকে পালিয়ে গেল- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বিংহাম বলেন, ‘স্মিটের কার্যালয়ের কাছেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে যাওয়ার পথ। তাই হত্যার পরই বন্দুকধারীর পক্ষে দ্রুত বের হয়ে যাওয়া কঠিন ছিল না।’