কাবুলে ক্রীড়া ক্লাবে বোমা হামলায় সাংবাদিকসহ নিহত ২০
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2018/09/06/photo-1536209270.jpg)
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে একটি কুস্তি খেলার ক্লাবে দুই দফা আত্মঘাতী বোমা হামলায় দুই সাংবাদিকসহ ২০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। আহত হয়েছেন ৭০ জন।
গতকাল বুধবার দুপুরের একটু আগে শিয়া মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা দাস্ত-ই-বারচিতে অবস্থিত এই ক্লাবে প্রথম দফায় বিস্ফোরণে চারজন নিহত হন। পরে সেখানে উদ্ধারকাজ শুরু হলে এবং গণমাধ্যমের কর্মীরা তথ্য সংগ্রহের সময় ফের হামলা চালানো হয় বলে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
দ্বিতীয় দফা হামলায় দুই গণমাধ্যমকর্মীসহ আরো ১৬ জন নিহত হন। যে স্থানে হামলার ঘটনাটি ঘটেছে, তার পাশেই সংখ্যালঘু হাজরা সম্প্রদায়ের লোকজনের বসবাস। তাঁরা শিয়া সম্প্রদায়ের।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাজিব দানিসের বরাত দিয়ে আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধারণা করা হচ্ছে, প্রথম বোমাটি আত্মঘাতী এবং দ্বিতীয় বোমাটি একটি গাড়িতে বাঁধা ছিল। হামলার পর স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন যানবাহনে হাসপাতালে পাঠান।
নিহতদের মধ্যে রামিজ আহমাদি ও শামিম ফারমারজ নামের দুই টেলিভিশন সাংবাদিক রয়েছেন। তাঁরা স্থানীয় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ‘টোলো নিউজ’-এ কর্মরত ছিলেন।
টেলিভিশন চ্যানেলটির প্রধান লুৎফুল্লাহ নাজাফিজাদাহ এক টুইট বার্তায় শোক প্রকাশ করে বলেছেন, ‘আমরা আমাদের দুজন সেরা সংবাদকর্মীকে হারালাম।’
আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি এক বার্তায় এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি সাধারণ মানুষ ও গণমাধ্যমের ওপর এ ধরনের হামলাকে বাকস্বাধীনতা ও মানবতার ওপর হামলা বলে উল্লেখ করেছেন।
আলজাজিরার সাংবাদিক জেনিফার গ্লসি বলেন, দ্বিতীয় হামলাটির লক্ষ্যই ছিল গণমাধ্যমকর্মীরা। গণমাধ্যমকর্মী ও সাধারণ আফগানদের জন্য এ বছরটি ভয়াবহ বিপর্যয়ের।
এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এ হামলার দায় স্বীকার করেনি।
তবে এর আগে আফগানিস্তানে উগ্রপন্থী জঙ্গি সংগঠন তথাকথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস এ ধরনের হামলা চালিয়েছে।