মার্কিন ঔপন্যাসিক জ্যাকি কলিনস আর নেই
ব্রিটিশ-আমেরিকান ঔপন্যাসিক জ্যাকি কলিনস (৭৭) আর নেই। তিনি স্তন ক্যানসারে ভুগছিলেন। তাঁর পরিবার এক বিবৃতির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘খুবই দুঃখ-ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আমরা আমাদের সুন্দর, প্রাণবন্ত ও মায়ের মতো একজনের মৃত্যুর খবর জানাচ্ছি।’
ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত এই ঔপন্যাসিকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসে মারা গেছেন।
আমেরিকার সাহিত্য অঙ্গনে চার দশকের পদচারণায় জ্যাকি কলিনস ৩২টি উপন্যাস লিখেছেন। ৪০টি দেশে তাঁর ৫০ কোটির বেশি বই বিক্রি হয়ছে।
পরিবারের বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, ‘পরিবার, বন্ধু ও ভক্তদের ভালোবাসায় এই লেখকের একটি চমৎকার পরিপূর্ণ জীবন ছিল। কল্পসাহিত্য ও সৃজনশীল লেখায় নারীদের জন্য তিনি একজন সত্যিকার অনুপ্রেরণাদায়ী ও একজন প্রবর্তক। তিনি তাঁর লেখার মাধ্যমে বেঁচে থাকবেন।’ যুক্তরাষ্ট্রের পিপল সাময়িকীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সাড়ে ছয় বছর আগে তাঁর স্তন ক্যানসার ধরা পড়ে।
জ্যাকি কলিনসের বোন অভিনেত্রী জোয়ান কলিনস (৮২) এই সাময়িকীকে বলেন, ‘সে (জ্যাকি) আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু ছিল। আমি তার কাজের প্রশংসা করি। সে একজন চমৎকার, সাহসী ও সুন্দর মানুষ ছিল। আমি তাকে ভালোবাসি।’
জ্যাকির নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশিত আত্মজীবনী থেকে জানা গেছে, কিশোরী বয়সেই জ্যাকি লেখালেখি শুরু করেন এবং তিনি তাঁর স্কুলবন্ধুদের জন্য রগরগে গল্প লিখতেন। তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘দ্য ওয়ার্ল্ড ইজ ফুল অব ম্যারিড ম্যান’ ১৯৬৪ সালে প্রকাশিত হয়। সর্বাধিক বিক্রীত (বেস্টসেলার) বইটি অস্ট্রেলিয়ায় নিষিদ্ধ করা হয় এবং প্রেমের গল্প লেখক বারবারা কার্টল্যান্ড এ বইকে ‘জঘন্য’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।
১৯৮৫ সালে তাঁর ‘হলিউড ওয়াইভস’ উপন্যাসটি এবিসি টেলিভিশনে ধারাবাহিক হিসেবে সম্প্রচার করা হয়। এতে অভিনয় করেন অ্যান্থনি হপকিনস ও ক্যানডিস বারগেন। ২০১১ সালে বার্তা সংস্থাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জ্যাকি বলেন, যৌনতা নিয়ে লিখতে তিনি কখনো লজ্জা পাননি। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, আমি মানুষের যৌন জীবনে সহায়তা করছি।’