অবশেষে ‘জামাল খাসোগি মৃত’
সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগি বেঁচে নেই। অবশেষে তা জানাল সৌদি আরব সরকারের টেলিভিশন।
সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার ওই টেলিভিশনে প্রচারিত খবরে বলা হয়, প্রাথমিক তদন্ত শেষে এমনটি জানা গেছে এবং এ ঘটনায় ১৮ জন সৌদি নাগরিককে আটক করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে বিবৃতি দেন সৌদি সরকারের আইনজীবী। ওই বিবৃতি প্রচার করে সৌদি সরকারের টেলিভিশন। বিবৃতিতে বলা হয়, কনস্যুলেটের ভেতরে খাসোগি ও সাক্ষাৎকারীদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয় এবং সেটি খাসোগির নিহত হওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, তদন্ত কাজ চলছে এবং এ ঘটনায় ১৮ সৌদি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডেপুটি গোয়েন্দা প্রধান আহমেদ আল-আসসিরি এবং সৌদ আল-কাহতানিকে এ ঘটনায় বরখাস্ত করা হয়েছে। এই দুই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ঘনিষ্ঠজন বলে পরিচিত ছিলেন।
সৌদ আল-কাহতানি সৌদি রাজকীয় আদালতের অন্যতম সদস্য এবং সৌদি যুবরাজের কাছের মানুষ। আহমেদ আল-আসসিরি ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদি রাজতন্ত্রের প্রধান মুখপাত্র হিসেবে কাজ করছিলেন।
খাসোগি নিহত হয়েছেন তা প্রথমবারের মতো স্বীকার করল সৌদি আরব।
এর আগে সৌদি কর্মকর্তারা দাবি করেন খাসোগি কনস্যুলেট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর নিখোঁজ হয়েছেন। অন্যদিকে তুরস্ক দাবি করছিল, সৌদি কনস্যুলেটের মধ্যেই সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যা করা হয়েছে।
তুরস্কের এক নারীর সঙ্গে বিয়ের জন্য কিছু জরুরি কাগজপত্র সংগ্রহ করতে গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করেন সাংবাদিক জামাল খাসোগি। এরপর থেকে আর খাসোগির সন্ধান মেলেনি।
খাসোগি হত্যার বিষয়টি সৌদি আরবের স্বীকার করার খবর বের হলেও তুরস্কের পুলিশ সেই দেশে খাসোগির মরদেহের সন্ধানে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। তুরস্কের একটি দৈনিক সর্বশেষ জানায়, খাসোগির মরদেহ তুরস্কের কোনো বনে বা খামারে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তার আগে সিএনএন জানায়, তাঁকে হত্যার পর তাঁর লাশ টুকরো টুকরো করা হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এর প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, যা ঘটেছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তবে সৌদি আরব আমাদের ‘মহৎ বন্ধু’। তিনি এক গোলটেবিল বৈঠকে বলেন, ‘গ্রেপ্তার (ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে) সৌদি আরবের পক্ষ থেকে প্রথম পদক্ষেপ।