১৮৯ যাত্রী নিয়ে জাভা সাগরে বিমান, মিলেছে ধ্বংসাবশেষ
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2018/10/29/photo-1540789894.jpg)
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা থেকে ১৮৯ যাত্রী নিয়ে উড্ডয়নের পর লায়ন এয়ারের বিধ্বস্ত বিমানটি জাভা সাগরে পড়ে ডুবে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ধ্বংসাবশেষ মিলেছে রয়টার্সের প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে।
স্থানীয় সময় আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৬টায় জাকার্তা থেকে বাঙ্কা বেলিতুং দ্বীপের দেপাতি আমির বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে বিমানটি। উড্ডয়নের ঠিক ১৩ মিনিটের মাথায় বিমানটির সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। পরে বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স মডেলের বিমানটি সুমাত্রা দ্বীপের কাছে বিধ্বস্ত হয় বলে জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এজেন্সি।
এজেন্সির মুখপাত্র ইউসুফ লতিফ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এক খুদে বার্তায় বলেন, ‘এটা নিশ্চিত যে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে।’ বিমানটি বাঙ্কার বেলিতুং দ্বীপের প্রধান শহর প্যাঙ্কাল পিনানে যাচ্ছিল।
উপকূলের নিকটবর্তী সমুদ্রে অবস্থিত জ্বালানি পরিশোধন কেন্দ্রের স্থাপনার মধ্যে বিমানের ভাঙা আসনসহ কিছু ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় জ্বালানি সংস্থা পেত্রামিনা। ধারণা করা হচ্ছে, এগুলো সোমবার সকালে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানের।
ইন্দোনেশিয়ার সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এজেন্সির প্রধান মোহাম্মদ সিয়াউগি জানিয়েছেন, যেখানে ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে, বিমানপথের ট্রাফিক কন্ট্রোল অফিসের সঙ্গে এর কাছাকাছি জায়গায় বিধ্বস্ত বিমানটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়।
তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে সিয়াউগি বলেছেন, ‘আমরা জানি না, আসলে কেউ বেঁচে আছেন কি না। আমরা আশা করছি, দোয়া করছি, তবে আমরা নিশ্চিত করতে পারছি না।’
তবে এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি লায়ন এয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এডওয়ার্ড সিরাত। তিনি রয়টার্সকে বলেন, ‘এখনই এ বিষয়ে আমরা কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। বিমানটির সমস্ত তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে।’
অন্যদিকে বিমানটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, বিপুল পরিমাণ বিক্রীত ৭৩৭ ম্যাক্স মডেলের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা এটিই প্রথম। গত বছর এই জ্বালানিসঞ্চয়ী মডেলটি বাজারে আনে বোয়িং।