স্বাধীনতার জন্য গণভোটে ফরাসি অঞ্চল নিউ ক্যালিডোনিয়াবাসী
প্রশান্ত মহাসাগরীয় ফরাসি নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল নিউ ক্যালিডোনিয়ার অধিবাসীরা আজ স্বাধীনতার পক্ষে-বিপক্ষে গণভোটে অংশ নিয়েছেন। সেখানকার স্বাধীনতাকামী ‘কনক’ আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকজনের সহিংস বিক্ষোভের মুখে দুই দশক আগে গণভোটের প্রতিশ্রুতি দেয় ফরাসি কর্তৃপক্ষ।
বহুল প্রতীক্ষিত এই গণভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটার স্বাধীনতার বিপক্ষে ভোট দিতে পারে বলে বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
‘প্যারিসের নিয়ন্ত্রণের উপনিবেশী শিকল ছিঁড়ে ফেলো’—স্বাধীনতাকামী কনক গোষ্ঠীর কর্মীরা নির্বাচনী প্রচারে এমন আহ্বান জানায়।
এই দুর্গম দ্বীপপুঞ্জ প্রতিবছর ফরাসি সরকারের কাছ থেকে দেড় বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ অর্থ পেয়ে থাকে।
নিউ ক্যালিডোনিয়ার বিপুল পরিমাণ নিকেল রয়েছে। ইলেকট্রনিক সামগ্রী তৈরিতে নিকেল খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে কাজ করে। এ কারণে ফরাসি সরকার নিউ ক্যালিডোনিয়াকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কৌশলগত জায়গা থেকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ স্থানীয় সময় রাত ১১টায় এই ভোটের ফল ঘোষণার পর জাতীয় টেলিভিশনে ভাষণ দেবেন। এ বছরের মে মাসে অঞ্চলটির রাজধানী নুমিয়া সফরকালে তিনি বলেছিলেন, ‘নিউ ক্যালিডোনিয়া বাদে ফ্রান্সকে কিছুটা কম সুন্দরই দেখাবে।’
‘হ্যাঁ’ ভোট বেশি পড়লে ফরাসিদের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৭৭ সালে জিবুতি ও ১৯৮০ সালে ভানুয়াতু যেভাবে স্বাধীন হয়েছে, তেমনি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আবির্ভূত হবে নিউ ক্যালিডোনিয়া। ১৯৯৮ সালের চুক্তি অনুযায়ী, ২০২২ সালের আগে আরো দুটি গণভোট হওয়ার কথা রয়েছে।