সঙ্গীকে নিয়ে বিতর্কে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশপ
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক সভায় ছেলেবন্ধুকে নিয়ে যোগ দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশপ। এই পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর পররাষ্ট্রমন্ত্রিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে অস্ট্রেলিয়ার লেবার পার্টি। তবে নিয়ম মেনেই ছেলেবন্ধু ডেভিড প্যান্টনকে নিয়ে সভায় অংশ নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন অস্ট্রেলিয়ার ক্ষমতাসীন দলের ডেপুটি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
যুক্তরাষ্ট্রের ৭০তম অধিবেশনে বিশ্বের প্রায় সব দেশেরই শীর্ষ নেতৃত্ব অংশ নিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিন থেকে শুরু করে কেউ বাদ নেই।
জাতিসংঘের সভার পোপ ফ্রান্সিসের বক্তব্যের সময় তোলা একটি ছবিতে দেখা যায়, অস্ট্রেলিয়ার জন্য নির্ধারিত অংশে আছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশপ এবং পাশের আসনেই তাঁর ছেলেবন্ধু ডেভিড প্যান্টন। তবে অস্ট্রেলিয়ার জন্য নির্ধারিত আসনগুলো শুধু কূটনীতিকদের জন্যই বরাদ্দ ছিল। তবে ডেভিড প্যান্টন অস্ট্রেলিয়ার কূটনীতিকদের কেউ নন।
জাতিসংঘের সভায় জুলি বিশপ ও ডেভিড প্যান্টনের পাশাপাশি বসার ছবি ক্যানবেরায় রাজনীতিকে বিতর্কের খোরাক জুগিয়েছে। গতকাল সোমবার পররাষ্ট্র বিষয়ে লেবার দলের মুখপাত্র ম্যাট থিস্টেলথওয়েটি বলেন, জাতিসংঘের চলতি সপ্তাহের সভা অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং সরকারকে এটি যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গেই বিবেচনা করা উচিত। কিন্তু ছেলেবন্ধুকে নিয়ে সাধারণ সভায় অংশ নেওয়ার বিষয়টি পররাষ্ট্রমন্ত্রীরই খণ্ডন করা উচিত।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এক মুখপাত্র বলেন, ডেভিড প্যান্টন মন্ত্রণালয়ের অস্ট্রেলিয়ার জাতিসংঘ সফরের কোনো সদস্য হননি। তিনি নিজ খরচেই যুক্তরাষ্ট্র গিয়েছেন। আর কারা অধিবেশনে অংশ নেবেন তা পররাষ্ট্রমন্ত্রীই ঠিক করেন।
জাতিসংঘের এক নিয়ম-কানুন ও যোগাযোগবিষয়ক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দি এজ জানিয়েছে, জাতিসংঘ সফরে একটি দলে পাঁচজন সদস্য ও কয়েকজন পরামর্শক থাকতে পারেন। আর কোনো অতিথি থাকলে আগে থেকেই সে কথা জাতিসংঘকে জানিয়ে রাখতে হয়।
অস্ট্রেলিয়ার বার্তা সংস্থা ফেয়ারফ্যাক্স জানায়, জাতিসংঘের অধিবেশনে বন্ধু বা স্বজনকে পাশে বসানোর ঘটনা কমই দেখা যায়। সাধারণ কূটনীতিকরা এসব আসনে বসেন।
এর আগে জাতিসংঘ সফরে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে সমালোচনায় পড়েন তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বব কার। ওই সমালোচনায় বেশ সরব ছিলেন বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জুলি বিশপ। তিনি দাবি করেছিলেন, বব কারের স্ত্রীর সফরের জন্য এক লাখের বেশি ডলার ব্যয় হলেও এতে দেশের জন্য কোনো ইতিবাচক হয়নি।