শার্ক ট্যাঙ্ক : নতুন আইডিয়ায় সফল ব্যবসায়ী
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2019/01/03/photo-1546509751.jpg)
একটি নতুন আইডিয়া বদলে দিতে পারে ব্যক্তির জীবনকে। একটি নতুন ‘বিজনেস আইডিয়া’ বদলে দিতে পারে পুরো দেশকে।
মার্কিন দেশের “মি অ্যান্ড দ্য বি’স” প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার সেই ছোট্ট মেয়ে মিকাইলা উলমারকে মনে আছে? যার একটি ধারণাই বদলে দিয়েছিল ব্যবসায়িক চিত্র। মধু দিয়ে লেমোনেড বানিয়ে আজ সফল ব্যবসায়ী ১৩ বছরের মিকাইলা। যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে তার কোম্পানির লেমোনেড বিক্রি করা হয়। বছরে সাড়ে তিন লাখের বেশি বোতল লেমোনেড বিক্রি করে প্রতিষ্ঠানটি।
আর নতুন আইডিয়ার উদ্যোক্তাদের পাশে বড় বড় বিনিয়োগকারীকে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দিচ্ছে মার্কিন এবিসি চ্যানেলের রিয়েলিটি টিভি শো ‘শার্ক ট্যাঙ্ক’। নতুন উদ্যোক্তারা তাঁদের বিজনেস আইডিয়াটি এই শোতে উপস্থাপন করতে পারেন।
আইডিয়ায় চমৎকৃত হলে পাশে দাঁড়ান বিনিয়োগকারীরা। এভাবে উঠে এসেছেন অনেক নতুন ব্যবসায়ী। খুদে ব্যবসায়ী থেকে হয়েছেন মিলিয়ন ডলারের মালিক।
২০১৫ সালে মিকাইলা মাত্র নয় বছর বয়সে তার ব্যবসায়িক ধারণাটি টিভি শো শার্ক ট্যাঙ্কে উপস্থাপন করে। মিকাইলার বক্তব্যে মুগ্ধ হয়ে মার্কিন পোশাক প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান ফুবু-র প্রধান নির্বাহী ডেমন্ড জন তার ব্যবসায়ে ৬০ হাজার ডলার বিনিয়োগ করেন।
এর দুই বছর পর সাবেক এক ফুটবলার তার ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করেন আট লাখ মার্কিন ডলার। অল্প বয়সেই সফল উদ্যোক্তা হিসেবে মিকাইলা অর্জন করে অসংখ্য পুরস্কার।
শুধু মিকাইলাই নয়, অসংখ্য উদ্যোক্তা আজ সফল ব্যবসায়ী শার্ক ট্যাঙ্ক টিভি শোর কল্যাণে। তাঁদের নতুন আইডিয়াই আকর্ষণ করে চলেছে বড় বড় বিনিয়োগকারীকে। এই বিনিয়োগকারীদের বলা হয় ‘শার্ক’।
শার্ক ট্যাঙ্কের প্রথম পর্ব সম্প্রচারিত হয় ২০০৯ সালের ৯ আগস্ট। এই শোর প্রধান প্রযোজক মার্ক বার্নেট, ক্লে নিউবিল, ইয়ুন লিংনার ও ফিল জুরিন। ২০১৮ সালের ৭ অক্টোবর ২০০ পর্বের মাইলফলক ছোঁয় এই শো।
ইউএসএটুডে ডটকম সেই শীর্ষ ২০ পণ্যের তালিকা প্রকাশ করেছে, এ তথ্য তাদের সরবরাহ করেছে বিনিয়োগকারী ও শার্ক ট্যাঙ্ক শোর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সনি পিকচারস টেলিভিশন।
শার্ক ট্যাঙ্কে উদ্যোক্তাদের বিজনেস আইডিয়া বা পণ্য সম্পর্কিত তথ্য সম্প্রচারের পর হু হু করে বাড়তে থাকে পণ্যের কদর। বিক্রি বাড়ে বহু গুণ। এভাবে শার্ক ট্যাঙ্কের ইতিহাসে ২০টি পণ্য তালিকার শীর্ষে উঠেছে।
তালিকার শীর্ষে ওঠা পণ্যগুলো হলো—স্ক্রুব ড্যাডি, সিম্পলি ফিট বোর্ড, স্কোয়াটি পটি, টিপসি এলভস, বোম্বাস, স্লিপ স্টাইলার, কাজিনস মাইনি লবস্টার, ফাইবারফিক্স, ব্যানট্যাম ব্যাগেলস, গ্রেস অ্যান্ড লেস, টাওয়ার প্যাডেল বোর্ডস, দি অরিজিনাল কমফাই, সান-স্টেসেস, স্যান্ড ক্লাউড, উইকড গুড কাপকেকস, বোতল ব্রিচারস, পিআরএক্স পারফরম্যান্স, ইলুমিবউল, প্রেপ এক্সপার্ট ও সিম্পল সুগারস।
এসব পণ্য শীর্ষে ওঠার পেছনে রয়েছে টিভি শো শার্ক ট্যাঙ্কের অবদান। ধরা যাক, প্রক্ষালন কক্ষের জন্য আরামদায়ক পাদানি। ইংলিশ কমোডে বসলে পা দুটো রাখা যায় এর ওপর। ২০১৪ সালের ১১ নভেম্বর এই শোতে সম্প্রচারিত হয় ‘স্কোয়াটি পটি’ সম্পর্কে। এর বিনিয়োগকারী বা শার্ক হন লরি গ্রেইনার। এর পর এ পণ্যের বিক্রি দাঁড়ায় ১৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
অথবা বড়দিনের ‘আগলি’ সোয়েটার ‘টিপসি এলভস’-এর কথাই ধরা যাক। ২০১৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর শার্ক ট্যাঙ্কে সম্প্রচারিত হয় এই পণ্য সম্পর্কে। পরে এতে বিনিয়োগ করেন রবার্ট হারজাভেক। এর বিক্রি দাঁড়ায় ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
শোনা যাচ্ছে, শার্ক ট্যাঙ্ক শোর দশম মৌসুমের নবম পর্বটি আর কয়েক দিন পরেই সম্প্রচারিত হতে চলেছে। সেখানেও উপস্থাপিত হবে নতুন নতুন বিজনেস আইডিয়া।