রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিতে চায় ফিলিপাইন

ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তে আবারও রোহিঙ্গাদের তাঁর দেশে নাগরিকত্ব দেওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। তিনি রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে সাদরে বরণ করে নিতে চান বলে জানিয়েছেন।
ম্যানিলায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দেশটির প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তে বলেন, ‘আমি রোহিঙ্গাদের গ্রহণ করতে চাই।’ ফিলিপাইনের সংবাদমাধ্যম ‘জিএমএ অনলাইন’ আজ বুধবার বিষয়টি জানিয়েছে।
গত বছরের এপ্রিলেও দুতের্তে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে আশ্রয় দেওয়ার আগ্রহের কথা জানান। তিনি সে সময় মিয়ানমারে রোহিঙ্গারা গণহত্যার শিকার হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। ওই সময় মিয়ানমার সরকারের এক মুখপাত্র প্রেসিডেন্ট দুতের্তের বক্তব্যকে অসংযত বলে আখ্যা দেন। বলা হয়, ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট মিয়ানমার সম্পর্কে কিছুই জানেন না।
২০১৭ সালের আগস্টের পর থেকে লাখ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমান তাদের বাড়িঘর ছেড়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনী ও উগ্রপন্থী বৌদ্ধদের নির্যাতনের মুখে তারা ভিটেমাটি ছেড়ে দেশত্যাগে বাধ্য হয়। জাতিসংঘ ও আন্তর্জান্তিক সম্প্রদায় একে জাতিগত নিধন আখ্যা দিলেও মিয়ানমার তা অস্বীকার করে আসছে।
প্রেসিডেন্টের সাবেক মুখপাত্র হ্যারি রক গত বছর বলেন, ‘শরণার্থীদের জন্য ফিলিপাইনের দরজা সব সময়ের জন্য খোলা। আমাদের সরকার সর্বদা এই নীতি মেনে চলে।’ তিনি বলেন, ‘বাতান প্রদেশে আমাদের ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানে আমরা শরণার্থীদের পুনর্বাসন করতে পারি।’
১৯৭৫ সালে ফিলিপাইন সরকার ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় সেদেশের হাজার হাজার শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছিল ফিলিপাইন। ফিলিপাইন শরণার্থী ব্যবস্থাপনা কেন্দ্র (পিআরপিসি) তাদের অনেকের আশ্রয় হয়েছিল।
এ ছাড়া ১৯৩০ সালে ফিলিপাইনের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ম্যানুয়েল ক্যুজন গণহত্যার শিকার হওয়া ইহুদি শরণার্থীদেরও আশ্রয় দিয়েছিলেন।