বাংলাদেশ সীমান্ত নিয়ে ভারতের বড় প্রকল্প
বাংলাদেশের সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া ও নতুন রাস্তা নির্মাণের একটি বড় প্রকল্প নিয়েছে ভারত। ভারতের নিরাপত্তাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি (সিসিএস) সীমান্তে এই বিশাল অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে।
কমিটির এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দ্য হিন্দু জানায়, গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিসিএস কমিটির এক সভায় সাড়ে চার হাজার কোটি রুপির এ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে এ-সংক্রান্ত কোনো সরকারি ঘোষণা এখনো দেওয়া হয়নি।
ভারতের বর্তমান ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) সরকারের কাছে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অভিবাসীদের নিরুৎসাহিত করা একটি বড় নির্বাচনী ইস্যু। তাদের নির্বাচনী এজেন্ডারও অন্তর্ভুক্ত ছিল, বাংলাদেশ থেকে আসা অভিবাসীদের নিরুৎসাহিত করা। কিন্তু ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফের) তথ্যমতে, চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত এক হাজার ৭৩১ জন বাংলাদেশিকে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার সময় ফিরিয়ে দিয়েছে তাঁরা। এদের মধ্যে অনেককেই সীমান্ত দিয়ে প্রবেশে কঠোর বাধা দেওয়া হয়।
দ্য হিন্দু জানিয়েছে, এই অবকাঠামো প্রকল্পের অধীনে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ২০০ কিলোমিটার কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করা হবে। এ ছাড়া প্রকল্পের অধীনে সীমান্ত এলাকায় ৪০০ কিলোমিটার রাস্তাও নির্মিত হবে।
জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আরো জানান, চলতি ২০১৪ সালের ডিসেম্বরেই এই প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জমি ও বন অধিগ্রহণ, দুর্গম এলাকা ও জনগণের প্রতিরোধের মুখে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। নতুন করে প্রকল্প শেষের সময়সীমা দেওয়া হয়েছে ২০১৯ সাল পর্যন্ত।
এর আগে ২০০০ সালে সীমান্ত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে ৮৫০ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া বসানো হয়েছিল। এরপর ২০০৭ সালে দ্বিতীয় দফায় ১৯৭৩ কিলোমিটার প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়।
ওই কর্মকর্তা আরো জানান, বিভিন্ন রাজ্য ও জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল এই প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ করছে। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ২২১৬.৭ কিলোমিটার, আসামের ২৬৩ কিলোমিটার, মেঘালয়ের ৪৪৩ কিলোমিটার, ত্রিপুরার ৮৫৬ কিলোমিটার ও মিজোরামের ৩১৮ কিলোমিটার সীমান্ত আছে।
প্রতিবেদনে দ্য হিন্দু আরো জানিয়েছে, চলতি বছরেই ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে চিঠি পাঠাবেন।