শিশু যৌন নিপীড়নে অভিযুক্তদের ভিসা বাতিল করছে অস্ট্রেলিয়া
শিশু যৌন নিপীড়নে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের অস্ট্রেলিয়ার ভিসা বাতিল করে দিচ্ছে দেশটির সরকার। একই সঙ্গে কোনো ব্যক্তির কাছে শিশু পর্নোগ্রাফি পাওয়া গেলে শাস্তির পাশাপাশি তাদেরও ভিসা বাতিল করে অস্ট্রেলিয়া থেকে বের করে দেওয়া হবে।
অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম হেরাল্ড সান জানিয়েছে, গত বছর ডিসেম্বর থেকে চলতি বছর অক্টোবর পর্যন্ত শিশু যৌন নিপীড়ন ও শিশু পর্নোগ্রাফিতে অভিযুক্ত ১০০ জনের ভিসা এরই মধ্যে বাতিল বা বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন দেশটির অভিবাসনমন্ত্রী পিটার ডাটন। এদের মধ্যে অর্ধশত ব্যক্তিকেই কারাভোগ শেষ হওয়ার পর অস্ট্রেলিয়া থেকে বের করে দেওয়া হবে। আর গত ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ৩৩ জনকে এই অপরাধে বের দেশ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
পিটার ডাটন বলেন, শিশুদের বিরুদ্ধে ভাষায় প্রকাশের অযোগ্য অপরাধ করেছে এই ব্যক্তিরা। এমন অপরাধ সমাজের জন্য বেশ ক্ষতিকর। তিনি আরো বলেন, কেউ এমন অপরাধে অভিযুক্ত হলে তাঁদের ভিসা বাতিল করা হবে। যত দ্রুত সম্ভব এই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
হেরাল্ড সানের প্রতিবেদনে জানা গেছে, ভিসা বাতিল করে অস্ট্রেলিয়া থেকে বের করা ব্যক্তিদের মধ্যে একজন তাঁর দুই মেয়েকে আট বছর বয়স থেকেই ধর্ষণ করতেন। ওই মেয়েদের একজন ১৩ বছর বয়সে সন্তানসম্ভবা হয়। শিশু ধর্ষণের দায়ে কারাভোগ শেষে ভিসা বাতিল করে তাঁকে অস্ট্রেলিয়া থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
বিচারকের মতে, শিশুরা সারা জীবনই ওই তিক্ত অভিজ্ঞতার স্মৃতি বহন করবে এবং বিভিন্ন ধরনের মানসিক রোগে ভুগবে।
ভিসা বাতিল করে অস্ট্রেলিয়া থেকে বের করে দেওয়া অপর ব্যক্তির কাছে বিপুল পরিমাণ শিশু পর্নোগ্রাফি পাওয়া যায়। এর মধ্যে দুটি শিশুর ওপর ভয়াবহভাবে আঘাত করার চিত্রও ছিল।
হেরাল্ড সান জানিয়েছে, শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতন বা শিশু পর্নোগ্রাফির অপরাধে ভিসা বাতিল ও অস্ট্রেলিয়া থেকে বের করে দেওয়াদের মধ্যে ২৫ জন নিউজিল্যান্ডের নাগরিক।
হেরাল্ড সান জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়া থেকে ভিসা বাতিল ও নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হলেও অনেক ক্ষেত্রেই ওই দেশের কাছে শিশু যৌন নিপীড়নে অভিযুক্তদের পরিচয় দেওয়া হয় না। এ ক্ষেত্রে নিজ দেশে ফেরার পর ওই ব্যক্তিদের কাছে আবার শিশু যৌন নিপীড়নের শিকার হতে পারে।