পশ্চিমাদের অতি মাংস ভক্ষণে বাড়ছে বৈশ্বিক উষ্ণতা
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2019/08/08/photo-1565264599.jpg)
পশ্চিমা বিশ্বের মাংস ভক্ষণের উচ্চ হার এবং দুগ্ধজাত খাদ্যদ্রব্যের অতি উৎপাদনে বাড়ছে বৈশ্বিক উষ্ণতা। জলবায়ু পরিবর্তন রুখতে দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় তাই প্রাণিজ খাবারের পরিবর্তে রাখতে হবে উদ্ভিদজাত খাবার। জাতিসংঘের এক বিশেষ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক আন্তরাষ্ট্রীয় এক প্যানেলের জন্য ১০৭ জন বিজ্ঞানীর একটি দল বিশ্বজুড়ে ভূমির ব্যবহার ও জলবায়ু পরিবর্তন-সংক্রান্ত এ প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
তাই বলে বিজ্ঞানীরা বা জাতিসংঘের কর্মকর্তারা সবাইকে ঢালাওভাবে নিরামিষভোজী হতে বলছেন না। মাংস খাওয়া কমাতে পারলে কম ভূমি ব্যবহার করে বেশি মানুষের খাদ্য সংস্থান করা সম্ভব বলেই উদ্ভিজ খাবার গ্রহণের পরামর্শ দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।
জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সঠিকভাবে ভূমির ব্যবহার করা গেলে তা মানব থেকে নির্গত কার্বন আরো অধিক হারে শোষণ করতে পারবে।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক আলোচনা শেষে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ।
যুক্তরাজ্যের অ্যাবারডিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞানী পিট স্মিথ বলেন, ‘আমরা মানুষকে মাংস খেতে নিষেধ করছি না। কোনো কোনো অঞ্চলের মানুষের মাংস খাওয়া ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প ব্যবস্থা থাকে না। তবে পশ্চিমে আমরা অনেক বেশি মাংস খাই, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।’
এ ছাড়া প্রতিবেদনে জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম দুই কারণ—মাটি ধ্বংস ও মরুকরণ—অবিলম্বে বন্ধ করার ওপর জোর দেওয়া হয়।