আজকের দিনে তিনি বলেছিলেন, ‘আই হ্যাভ এ ড্রিম’
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2019/08/28/photo-1566993827.jpg)
ইতিহাসে ব্যক্তিই সব নয়। কিন্তু যদি বলা হয়, জর্জ ওয়াশিংটন আমেরিকাকে স্বাধীন করেছেন, আব্রাহাম লিংকন এনেছেন গণতন্ত্র, তবে মার্কিন দেশকে সভ্য করেছেন মার্টিন লুথার কিং। তাঁর নেতৃত্বে কালো মানুষ পেয়েছে সাদা মানুষের মতো সমান অধিকার। আর সাদা নাগরিকেরা পেয়েছেন বর্ণবাদের অভিশপ্ত অহংকার থেকে মুক্তি।
৫৬ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক অধিকার আন্দোলনের নেতা মার্টিন লুথার কিং এক অসামান্য ভাষণ দিয়েছিলেন ওয়াশিংটনে আড়াই লাখ আমেরিকানের এক সমাবেশে।
‘আই হ্যাভ এ ড্রিম’ নামে লিংকন মেমোরিয়ালের সামনে দাঁড়িয়ে দেওয়া সেই বিখ্যাত ভাষণ বিশ্বের সর্বকালের সেরা ভাষণগুলোর অন্যতম হয়ে আছে।
আজ সেই বিশ্ববিখ্যাত ভাষণের ৫৬ বছর পূর্ণ হলো। ১৯৬৩ সালের আজকের দিনে (২৮ আগস্ট) মার্টিন লুথার কিং লিংকন মেমোরিয়ালের সামনে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, আই হ্যাভ এ ড্রিম, যা তাঁকে বিশ্ববাসীর কাছে অতুলনীয় নেতা হিসেবে অমর করে রেখেছে।
সেদিন লুথার কিং যুক্তরাষ্ট্র থেকে বর্ণবাদ দূর করার লক্ষ্য নিয়ে লাখ লাখ আমেরিকানের সামনে ঐক্যের ডাক দিয়েছিলেন।
বর্ণবাদ অবসানের লক্ষ্যে ‘সিভিল রাইটস মুভমেন্ট’ বা নাগরিক অধিকার আন্দোলন শুরু করেছিলেন মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র। তারই অংশ হিসেবে ১৯৬৩ সালের ২৮ আগস্ট আয়োজিত ‘মার্চ অন ওয়াশিংটন’ কর্মসূচিতে অংশ নেন তিনি।
তিনি না জন্ম নিলে হয়তো আমেরিকার একটি বড় অংশ সাবেক বর্ণবাদী দক্ষিণ আফ্রিকার দশায় পড়ে থাকত। যে দেশে একসময় কালো শিশুরা সাদা শিশুদের সঙ্গে পড়তে পারত না। যেখানে সাদা যাত্রীকে দেখে বাসের আসন ছেড়ে দিতে হতো কোনো কালো নারীকে। কোনো শ্বেতাঙ্গিনীকে ভালোবাসার অপরাধে যে দেশে কৃষ্ণাঙ্গ তরুণকে কেটে কুটিকুটি করা হতো। সে দেশে মার্টিন লুথারের নাগরিক স্বাধীনতা আন্দোলনের কারণে ফিরেছে সাদা-কালোর সমতা।
মার্টিন লুথারের মাধ্যমেই আমেরিকার বর্ণবাদবিরোধী ২০০ বছরের লড়াই পরিণতি পায়। কিন্তু সংগ্রামের শীর্ষ মুহূর্তেই আততায়ীর গুলি কেড়ে নেয় এই মহাপুরুষের জীবন। ১৯৬৮ সালে মাত্র ৩৯ বছর বয়সে শ্বেতাঙ্গ ঘাতকের গুলিতে তাঁর মৃত্যু হয়।