জাতীয় সংগীতে দাঁড়ায়নি, মুসলিম পরিবারকে হেনস্তা
জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সময় দাঁড়িয়ে সম্মান না দেখানোয় এক মুসলিম পরিবারকে সিনেমা হল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। ভারতের মুম্বাইয়ের কুরলা এলাকায় এ ঘটনা।
আজ সোমবার ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে।
ইউটিউব ও টুইটারে ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে এ দৃশ্য দেখা যায়। সেখানে দেখা যায়, জাতীয় সংগীত শুরু হওয়ার পর এক পরিবারের চার ব্যক্তি দাঁড়িয়ে সম্মান দেখাতে অস্বীকৃতি জানান। এ সময় আশপাশের কয়েক ব্যক্তির সঙ্গে তাঁদের কথাকাটাকাটি হয়। ওই পরিবারের এক ব্যক্তি বলেন, তিনি দাঁড়াতে চান না। তবে একটু পরেই তিনি কথা পাল্টে বলেন যে তাঁর হাঁটুতে একটু সমস্যা আছে। এ সময় তিনি হলের অন্য দর্শকের সঙ্গেও বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। তখন আরেক নারীকে দেখা যায়, যিনি উত্তেজিত দর্শককে শান্ত করার চেষ্টা করছেন।
ভিডিওটিতে আরো দেখা যায়, ওই ব্যক্তির সামনের সারিতে বসা এক ব্যক্তি বলেছেন, ‘ভারতে থেকে ভারতের জাতীয় সংগীত শুনে বলছেন, আমি দাঁড়াব না?’
তখন অন্য আরেক ব্যক্তি বলেন, আপনি এখনই এই সিনেমা হল থেকে বের হয়ে যান। এ সময় ভিড় থেকে আরেকজন ব্যক্তিও ভালোয় ভালোয় পরিবারটিকে সিনেমা হল থেকে বের হয়ে যেতে বলেন।
জাতীয় সংগীতের সময় দাঁড়াতে না চাওয়া ওই ব্যক্তিকে উত্তেজিত জনতাকে ঠান্ডা করার চেষ্টা করতে দেখা যায়। একপর্যায়ে সিনেমা হল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে এক কর্মকর্তা এসে তাঁদের হল থেকে চলে যেতে বললে পুরো পরিবার নিয়ে বের হয়ে যান ওই ব্যক্তি। ভিডিওটিতে দেখা যায়, পরিবারটি সিনেমা হল ছেড়ে বের হয়ে যাওয়ার সময় সেখানে উপস্থিত দর্শক তালি দিয়ে এবং হর্ষধ্বনি দিয়ে আনন্দ প্রকাশ করে।
পরিবারটি হল ছেড়ে যাওয়ার পরই ছবি প্রদর্শন শুরু করে হল কর্তৃপক্ষ।
আইন কী বলছে?
ভারতের প্রিভেনশন অব ইনসাল্ট টু ন্যাশনাল অনার অ্যাক্ট, ১৯৭১-এর তিন নম্বর ধারায় জাতীয় সংগীতের বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া আছে। এই ধারা অনুযায়ী, ‘কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে ভারতের জাতীয় সংগীত গাইতে বাধা দেয় বা কোনো সমাবেশে জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময় ব্যাঘাত ঘটায়, তাহলে তার তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে।’