স্কুলের টয়লেটে ছাত্রীর প্রসব, শিক্ষকরা অবাক
ভারতের হায়দ্রাবাদের একটি স্কুল। ক্লাস নাইনের এক কিশোরী শ্রেণিকক্ষে বসে বারবার জানাচ্ছিল যে তার ভীষণ পেট ব্যথা করছে। এ সময় তার শিক্ষক এক সহপাঠীসহ তাকে টয়লেটে পাঠিয়ে দিলেন।
কিছুক্ষণ পর সেই সহপাঠী আতঙ্কিত অবস্থায় ফিরে এসে জানাল, টয়লেটের ভেতরে একটি বাচ্চা প্রসব করেছে ওই কিশোরী।
দ্রুত কিশোরী ও তার নবজাতককে অন্য কক্ষে স্থানান্তর করা হলো। সেইসাথে খবর দেওয়া হলো কিশোরীর অভিভাবকদের।
এনডিটিভিকে স্কুলের ১৩ নারী শিক্ষকসহ কর্মকর্তা-কর্মচারিরা জানিয়েছেন, ওই কিশোরী যে গর্ভবতী ছিল তা তাঁরা কেউই বুঝতে পারেননি।
ওই কিশোরীর এক শিক্ষক বলেন, ‘তার শারীরিক গঠন খুবই পাতলা ধরনের এবং সে সব সময় তার পেটের ওপর ওড়না দিয়ে রাখত। এমনকি যখন শ্রেণিকক্ষে বসত তখনো কোলের ওপর ব্যাগ রাখত। সে জন্য আমরা কিছু বুঝতেই পারিনি।’
ধারণা করা হচ্ছে, সম্ভবত কোনো প্রতিবেশী কিশোরীটিকে যৌন হেনস্তা করেছিল। তবে গতকাল সোমবার এই ঘটনা প্রকাশিত হওয়ার পরই এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করে কিশোরীর পরিবার। এ ঘটনায় একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এই ঘটনার পর ওই স্কুল পরিদর্শন করেছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। তিনি মনে করেন, সামাজিক অবস্থান আর লোকলজ্জার ভয়েই ওই কিশোরীর বাবা এতদিন পুলিশের কাছে যাননি।
কিশোরীর সহপাঠীরা জানিয়েছে, কিছুদিন ধরেই সে বেশ নির্লিপ্ত ছিল এবং অন্য সবার সাথে মাঠে খেলতে যেত না।
পুরো বিষয়টিতে শিশু নির্যাতনের বিষয়ে সমাজের অজ্ঞতাকেই দায়ী করছেন নারী ও শিশু অধিকার কর্মীরা। তাঁরা বলছেন, এই ঘটনা এটা প্রমাণ করে যে, ওই কিশোরীর প্রতি তার পরিবার ও আশপাশের মানুষ যথাযথ মনোযোগ দেয়নি। যার ফলাফল, যৌন হেনস্তা বা ধর্ষণের পর কিশোরীর গর্ভধারণ এবং সন্তান জন্মদান।