‘ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে এবার নৌপথে যাত্রী পরিবহন’
ভারতের কেন্দ্রীয় যোগাযোগমন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি বলেছেন, যোগাযোগ ব্যাবস্থার আরো উন্নয়নের লক্ষ্যে এবার ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে নৌপথে শুরু হবে যাত্রী পরিবহন।
আজ বুধবার সকালে কলকাতায় ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল ও ভূটানের মৈত্রী শোভাযাত্রার সমাপ্তি অনুষ্ঠানে গড়কড়ি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি এই শোভাযাত্রার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
নীতিন গড়কড়ি বলেন,‘বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটাতে ভারত সরকারের সবসময়ই ইতিবাচক মনোভাব রয়েছে। এরই মধ্যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সড়ক পথে যোগাযোগ বাড়ানো হয়েছে। এর সঙ্গে এবার নৌপথেও পর্যটকরা যাতে দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ করতে পারে তা বাস্তবায়ন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খুব শিগগিরই দুই দেশের মধ্যে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল করবে। যোগাযোগ ব্যাবস্থা যত উন্নত এবং গতিশীল হবে ততই দুই দেশের অর্থনৈতিক সামাজিক উন্নয়ন হবে।’ যোগাযোগ ব্যবস্থার পাশাপাশি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করতে আরো কিছু বিষয় নিয়ে কথা চলছে বলেও জানান কেন্দ্রীয়মন্ত্রী।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফেও কিছু প্রস্তাবনা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এসেছে-এমন তথ্য জানিয়ে নীতিন গড়কড়ি বলেন, সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে এই সড়কপথের উন্নয়নের জন্য ভারত সরকার এরইমধ্যে এক লাখ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। প্রয়োজনে ভারত সরকার আরো আর্থিক সাহায্য করবে।
নীতিন গড়কড়ি বলেন,শুধু সড়কপথে যোগাযোগ বাড়ছে তাই নয় এই যোগাযোগ ব্যাবস্থার মধ্য দিয়ে এই চার দেশের মানুষের হৃদয়ের সঙ্গে হৃদয়ের যোগাযোগও বাড়বে। অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে।
উল্লেখ্য, গত ১৪ নভেম্বর ভারতের ওড়িশা রাজ্য থেকে মৈত্রী শোভাযাত্রা শুরু করে। ২০টি গাড়ির বহরের এ শোভাযাত্রায় অংশ নেয় বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল ও ভারতের ৮০ জন প্রতিনিধি। ঝাড়খণ্ড,বিহার, সিকিম, মেঘালয়, আসাম ও ত্রিপুরা হয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে গত শনিবার দুপুরে গাড়ি বহরটি ফেনীর বেলুনিয়া হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। পরের দিন চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসে মৈত্রী শোভাযাত্রাটি। গতকাল মঙ্গলবার সকালে জাতীয় সংসদ ভবন থেকে এটি কলকাতার উদ্দেশে যাত্রা করে। দিবাগত রাতেই কলকাতার তাজবেঙ্গল হোটেলে পৌঁছে। আজ বুধবার কলকাতার প্রিন্সেপঘাটে সাড়ম্বর আয়োজনে এটির আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি হয়। পশ্চিমবঙ্গের যুব ও আবাসনমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নিরোদ চন্দ্র মণ্ডলের নেতৃত্বে শোভাযাত্রায় যোগ দেওয়া ছয় সদস্য উপস্থিত ছিলেন।