পশ্চিমা সহায়তা পেলে কয়লা ব্যবহার কমাবে ভারত
পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলো থেকে পর্যাপ্ত তহবিলের পাশাপাশি প্রযুক্তি সহায়তা পেলে কয়লার ব্যবহার কমানো হবে বলে জানিয়েছে ভারত। এ জন্য একটি চুক্তিও করতে চায় দিল্লি।
দি এনার্জি অ্যান্ড রিসোর্স ইনস্টিটিউটের (টিইআরআই বা টেরি) মহাসচিব অজয় মাথুর বলেন, ‘যেসব উন্নত দেশ তাদের জ্বালানি চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি পর্যাপ্ত খরচ করে কার্বন কমিয়েছে, সেসব দেশের কাছ থেকে পর্যাপ্ত আর্থিক সহায়তা পেতে একটি চুক্তি করতে চাই। এ ক্ষেত্রে আমাদের প্রথম অঙ্গীকার থাকবে, আমরা সৌর ও বায়ুশক্তি সমৃদ্ধ করব এবং খরচ বাঁচাতেই কেবল কয়লার ব্যবহার করা হবে। হাইড্রো, নিউক্লিয়ার ও সব ধরনের কার্বনশূন্য জ্বালানি উৎস সমৃদ্ধ করতে কাজ করা হবে। যে ক্ষেত্রে অন্য কোনো উৎস থেকে জ্বালানি পাওয়া যাবে না, সেখানেই শুধু কয়লার ব্যবহার করা হবে।
ভারতের সংবাদপত্র ইকোনমিক টাইমসের অনলাইনে আজ বৃহস্পতিবার বলা হয়েছে, কয়লা ব্যবহারের কারণে ভারতের নীতিনির্ধারকদের দেশ ও দেশের বাইরে সুশীল সমাজ ও বিভিন্ন সংগঠনের কাছ থেকে ক্রমাগত সমালোচনার শিকার হতে হয়।
ভারতের জ্বালানি-নীতি বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ পরিবর্তনবিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত টড স্টার্ন বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বায়ু ও সৌরশক্তি ব্যবহারের বিষয়ে অঙ্গীকার করেছেন। ২০২২ সালের মধ্যে ভারতে মোট ১৭৫ গিগাওয়াট শক্তি উৎপন্ন করা হবে বলে তিনি (মোদি) অঙ্গীকার করেছেন। আমরা দেশটিকে সহায়তা দেব, বিনিয়োগ করব। অনেক দেশ সহায়তা করবে। আমরা ভারতের অংশীদারদের সঙ্গে উৎসাহ নিয়ে কাজ করতে চাই। যথাসম্ভব দেশটিকে সহায়তা করতে সব ধরনের চেষ্টা করা হবে।’
ভারতকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রযুক্তিগত সহায়তা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ভারত নবায়নযোগ্য জ্বালানি সমৃদ্ধ করবে। বিশেষ করে এ সময়ের মধ্যে সৌর ও বায়ুবিদ্যুৎ শক্তি সাত গুণ বাড়ানো হবে।
মাথুর বলেন, জ্বালানি ক্রয়ক্ষমতায় মধ্যে আগামী ১০ বছর সৌর ও বায়ুবিদ্যুৎ বেশি মাত্রায় উৎপাদনের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। এটি একটি চ্যালেঞ্জ।