অস্ট্রেলিয়ার ‘গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন’ ক্যাপারটি ভ্যালি
বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক বিস্ময় অস্ট্রেলিয়ার ক্যাপারটি ভ্যালি। নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের মধ্যেই, আর সিডনি শহরের কাছাকাছি অবস্থিত সবুজে মোড়ানো এই গভীর গিরিখাত। জীব ও প্রাণিবৈচিত্র্যের কারণে অন্য যে কোনো গিরিখাতের ব্যতিক্রম এই ক্যাপারটি ভ্যালি।
যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত গিরিখাত গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন, যাকে বলা প্রকৃতির বৃহত্তম বিস্ময়। এর পরই সবচেয়ে জনপ্রিয় গিরিখাত বলতে ক্যাপারটি ভ্যালি। মাজার বিষয় হলো, গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের চেয়েও এক কিলোমিটার চওড়া এই গিরিখাত। তবে বিস্তৃতি আর গভীরতায় গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের চেয়ে কম। তবে অনেকে একেই বলেন ‘অস্ট্রেলীয়ার গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন’।
স্তরে স্তরে গঠিত হয়েছে ক্যাপারটি ভ্যালির ভূমি, যা একই সঙ্গে দৃষ্টিনন্দন ও শৈল্পিক। বিপুলসংখ্যক পাখি ও বন্য প্রাণী প্রজাতির আবাস এই গিরিখাত। দূর থেকে দেখলে একে মনে হয় যেন সবুজের চাদরে মোড়া।
ক্যাপারটি ভ্যালির কাছেই আছে ‘ওলেমি ন্যাশনাল পার্ক’ এবং ‘কলো’ নদীর উৎপত্তিস্থল। পাখি দেখা বা ছবি তুলতে আসা পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় এসব স্থান। কারণ পাখির কলকাকলিতে মুখরিত স্থানগুলোতে চোখে পড়ে বিচিত্র সব প্রাণীও। আর উঁচু-নিচু ভূমি ও সবুজের সমারোহ তো আছেই।
ক্যাপারটি ভ্যালি বাড়তি হিসেবে আছে একটি শহরের ধ্বংসাবশেষ। ১৯৩৮ থেকে ১৯৫২ সাল পর্যন্ত চালু ছিল তেলের খনির জন্য বিখ্যাত শহর গ্লেন ডেভিস। এখনো টিকে আছে শহরের কিছু কাঠামো। এ ছাড়া বন্ধ হয়ে যাওয়া তেলের খনিতে আছে, প্রায় ১০০ বছর পূর্বে তৈরি একটি দীর্ঘ টানেল। গিরিখাত ঘুরতে আসা পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ গ্লেন ডেভিস শহর। তবে সেখানে যেতে বিশেষ অনুমতির প্রয়োজন হয়। আর প্রতি শনিবার শহরের ধ্বংসাবশেষ ঘুরে দেখার জন্য গাইডও পাওয়া যায়।
জানা গেছে, ঘোরাঘুরির জন্য পুরো ক্যাপারটি ভ্যালি এলাকায়ই আছে রাস্তা। আবার চাইলে অল্প সময়ের মধ্যে হেলিকপ্টারে ঘুরে দেখা যাবে পুরো এলাকা। তবে এ জন্য গুনতে হবে কিছু বাড়তি অর্থ।
ক্যাপারটি ভ্যালি হেলিকপ্টারে ঘুরে দেখান পাইলট মার্ক লিলি। তিনি বলেন, অনেক অস্ট্রেলীয়র কাছে জন্মদিন বা বিবাহবার্ষিকীর আকর্ষণীয় উপহার হলো হেলিকপ্টারে গিরিখাত ঘুরে দেখানো।