দাবানল শেষে বাড়ি ফিরছে ভিক্টোরিয়ার অধিবাসীরা
অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যের দাবানল এখন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে। ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে ফিরে আসা নিরাপদ বলে ঘোষণা দিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। এই পরিপ্রেক্ষিতে ওই অঞ্চলের মানুষ বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। তবে এখনো কিছু কিছু অঞ্চলে সাময়িকভাবে জরুরি অবস্থা জারি আছে।
বিবিসি জানিয়েছে, বড়দিনে ঘটা দাবানলে ভিক্টোরিয়ার ১১৬ বাড়ি পুড়ে বসবাস অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। দাবানলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভিক্টোরিয়ার উয়ি রিভার ও সেপারেশন ক্রিক অঞ্চল। এরই মধ্যে মানুষ ফিরে তাঁদের ক্ষতিগ্রস্ত আবাস দেখছে। উয়ি রিভার এলাকার প্রতি তিনটি বাড়ির একটি বসবাস অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
ভিক্টোরিয়ার মন্ত্রী ড্যানিয়েল অ্যান্ড্রুজ বলেন, অনেক ক্ষতি হয়েছে। তবে স্বস্তির বিষয় হলো, কেউ হতাহত হয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থা পুনঃস্থাপন এবং পরিবেশ উন্নয়নের কাজ শিগগিরই শুরু হবে বলে তিনি আশ্বস দেন।
ড্যানিয়েল অ্যান্ড্রুজ আরো বলেন, ভিক্টোরিয়ার দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েকশ অগ্নিনির্বাপণ বিভাগের সদস্য কাজ করেছেন।
নিরাপত্তা বাহিনীর বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় গত শুক্রবার ভিক্টোরিয়ার দুই শহর ও একটি পর্যটন এলাকায় দাবানল শুরু হয়। এসব অঞ্চলের দেড় হাজারের বেশি মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়। বড়দিনের প্রস্তুতি নেওয়া এসব মানুষকে কাটাতে হয় নিরাপদ আশ্রয়ে। পরে বৃষ্টির কারণে দাবানল নিয়ন্ত্রণে আনা সহজ হয়। তবে এখনো কিছু কিছু স্থানে জরুরি অবস্থা জারি করে রাখা হয়েছে। স্থানীয় সময় আজ রোববার বাড়ি ফেরার নিরাপদ ঘোষণার পরপরই অনেক অধিবাসী বাড়ি ফিরে গেছে। অনেকে পরীক্ষা করে দেখছেন তাঁদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ।
বিবিসি জানিয়েছে, ১৯ ডিসেম্বর বজ্রপাত থেকে দাবানলের সূত্রপাত, যা বাতাসের কারণে ছড়িয়ে পড়ে। কয়েক দিনের দাবানলে অস্ট্রেলিয়ার দুই হাজার ২০০ হেক্টর বনভূমি পুড়েছে।
প্রায়ই দাবানল দেখা যায় বিশ্বের এমন অঞ্চলের তালিকায় ওপরের দিকে ভিক্টোরিয়ার অবস্থান। প্রায়ই বজ্রপাত বা বনে ঘুরতে আসা মানুষের ক্যাম্প বা সিগারেট থেকে এ এলাকায় দাবানল শুরু হয়। এযাবৎকালে ভিক্টোরিয়া অঞ্চলে ভয়াবহতম দাবানল দেখা যায় ২০০৯ সালে। ওই ঘটনায় ১৭০ জনের মৃত্যু হয়।