ইউরোপের প্রথম জিকা আক্রান্ত গর্ভবতী শনাক্ত
দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতে ভয়াবহ সংক্রমণের পর কদিন আগে উত্তর আমেরিকা ও আফ্রিকায় পাওয়া গিয়েছিলে জিকা ভাইরাস। আর এবার ইউরোপ মহাদেশেও দুরারোগ্য জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া গেছে। স্পেনে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
শুক্রবার স্পেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রয়টার্সের খবরে বলা হয়, জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত স্পেনের ওই নারী সম্প্রতি কলম্বিয়া থেকে দেশে ফিরেছেন। ধারণা করা হচ্ছে সেখানেই সংক্রমিত হয়েছেন তিনি। তবে জিকা ভাইরাস আক্রান্ত নারীর পরিচয় প্রকাশ করেনি কর্তৃপক্ষ।
ইউরোপে জিকা ভাইরাস আক্রান্তের সন্ধান পাওয়ার পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ইউরোপজুড়ে ভাইরাসটির ছড়িয়ে যাওয়ার যে আশঙ্কা করেছিল তা আরো বেড়ে গেল। ডব্লিউএইচও আশঙ্কা করছে, চলতি বছরেই ৩০ লাখ থেকে ৪০ লাখ লোক এতে আক্রান্ত হতে পারে।
এদিকে দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশে দ্রুত ছড়াচ্ছে জিকা ভাইরাস। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ব্রাজিলসহ অন্যান্য দেশের মায়েদের গর্ভে ক্ষতিগ্রস্ত মস্তিষ্ক নিয়ে শিশু জন্মের ঘটনা বাড়ছে। বিশেষ করে ব্রাজিলেই সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে রোগটি। ল্যাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের ২১ দেশের প্রায় ১৬ লাখ মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
জিকা ভাইরাস সংক্রমণের ঘটনায় ব্রাজিলসহ লাতিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জরুরি অবস্থা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
জিকা ভাইরাসের জন্য এডিস মশাকেই দায়ী করে আসছেন চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা। শুধু গর্ভবতী মায়েদেরই নয় যৌন সম্পর্কের কারণেও এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছে।
এখনো এ ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার করতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। মার্কিন গবেষকরা জানিয়েছেন, এই রোগের প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে দীর্ঘ সময় লাগতে পারে। আর এটি সহজলভ্য হতে সময় লাগতে পারে প্রায় ১০ বছর। তবে জিকা ভাইরাসের প্রথম প্রতিষেধক তৈরির দাবি করেছে ভারতের একটি ওষুধ সংস্থা ‘ভারত বায়োটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড’।