নেতানিয়াহুর জয়ের নেপথ্যে
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/03/18/photo-1426697849.jpg)
ইসরায়েলে পার্লামেন্ট নির্বাচনের আগের জনমত জরিপগুলোতে বামপন্থী জায়োনিস্ট ইউনিয়নের জয়জয়কার শোনা গিয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ফিলিস্তিনবিরোধী প্রচারণাকে পুঁজি করে জিতল বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টি।
এ জয়ের মধ্য দিয়ে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হলেন বিবিখ্যাত নেতানিয়াহু।
নির্বাচনে ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটের ১২০ আসনের ৩০টি পেয়েছে লিকুদ পার্টি। বিপরীতে জায়োনিস্ট ইউনিয়ন পেয়েছে ২৪টি আসন।
রয়টার্সের বিশ্লেষণে বলা হয়, নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতে ইসরায়েলের নিরাপত্তার বিষয়টি সামনে এনেছিলেন নেতানিয়াহু। এ ছাড়া ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়েও জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন তিনি। তবে এতে ভোটারদের তেমন সাড়া পাওয়া যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে প্রচারণার গতানুগতিক ও জাতীয়তাবাদী পন্থা বেছে নেন বিবি। তিনি ফিলিস্তিনে ইসলামপন্থীদের উত্থান এবং ইসরায়েলে আরব-সমর্থিত বিভিন্ন দলের সমর্থন বাড়ার বিষয়টিকে সামনে আনেন। এ ছাড়া ফিলিস্তিনিদের কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না বলে প্রচারণায় জোর দাবি করেন তিনি। এতেই বাজিমাত করেছেন তিনি।
তবে বিবিসির বিশ্লেষণে উল্লেখ করা হয়, যে হারে ইসরায়েলি আরবদের সমর্থন বাড়ছে, তাতে ভোটে নেতানিয়াহু হারলে ইসরায়েল সংকটে পড়তে পারে- এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বিবি। এতে করে ভোটারদের টানতে পেরেছেন তিনি। লিকুদ পার্টির এ নেতার দেওয়া সিরিজ প্রতিশ্রুতির বড় অংশজুড়ে ছিল ইসরায়েল অধিকৃত এলাকায় বসতি স্থাপনকারীদের জন্য নতুন বাড়ি নির্মাণ। এটাও জয়ের বড় কারণ।
এবারও চটকদার প্রতিশ্রুতি কিংবা সহজপাচ্য বড়ি গিলিয়ে ইসরায়েলের মসনদে বসেছেন নেতানিয়াহু। তবে তাঁর এ জয় ফিলিস্তিনিদের নতুন করে সংকটে ফেলতে পারে বলেই বিভিন্ন মহলের ধারণা। নতুনমেয়াদে নেতানিয়াহু অধিকৃত পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম ও গাজায় বসতি নির্মাণকাজ অব্যাহত রাখলে ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা বাড়তেই থাকবে।