তিমির পেটে তিনদিন থেকেও জীবিত!

সর্ববৃহৎ জলচর প্রাণী তিমি। এই তিমির পেটে তিনদিন থাকার পরও বেঁচে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে স্পেনে। দেশটির একজন জেলে এই দাবি করেছেন এবং নিজের দাবির পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন। তবে জেলেটির যুক্তির চেয়ে তিমির পেটে থাকার অভিজ্ঞতার ঘটনাতেই বেশ সাড়া ফেলেছে।
ডেকান ক্রনিকেল জানিয়েছে, ৫৬ বছর বয়সী জেলে লুগি মারকেজ সম্প্রতি এক ঝড়ের সময় সমুদ্রে ডুবে যান। কোস্টগার্ডের সদস্যরা কয়েকদিন তাঁর খোঁজ করেন, পরে আশা ছেড়ে দেন। এর কয়েকদিন পরই ফিরে এসে তিমির পেটে থেকে বেঁচে থাকার দাবি করেন মারকেজ।
লুগি মারকেজ স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, সকালে ঝড়ের পর একটি তিমি তাঁকে গিলে ফেলে। তিমির পেটে থাকা তাঁর জীবনের সবচেয়ে ভয়ংকর অভিজ্ঞতা। তিনি বলেন, ‘তিমির পেটে ঢোকার পরই সব অন্ধকার হয়ে যায়। ওই সময় আমি ঠান্ডায় কাঁপছিলাম। ঘন কালো আঁধারে সব ঢাকা পড়ে। আলো বলতে ছিল আমার পানিরোধী হাতঘড়ি। এই ঘড়ি দেখেই সময় জানতে পেরেছি।’তিমির পেটে থাকার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে লুগি মারকেজ বলেন, তিনদিন ও রাত তিমির পেটে থাকা অবস্থায় কাঁচা মাছ খেয়েছেন। তিমির পেটের মধ্যে অত্যন্ত পচা গন্ধ বলে দাবি করেন লুগি। ওই গন্ধ দূর করতে তাঁকে তিনদিন গোসল করতে হয়েছে। ৭২ ঘণ্টা পর তাঁকে পেট থেকে বের করে দিয়েছে বলে দাবি করেন লুগি।
লুগির স্ত্রী পেনেলোপি মারকেজ দাবি করেন, হারিয়ে যাওয়ার পর প্রতিদিন তিনি লুগির জন্য প্রার্থনা করেছেন। হয়তো সৃষ্টিকর্তা তাঁর প্রার্থনা শুনে স্বামীকে ফিরিয়ে দিয়েছেন।
লুগি মারকেজের দাবি নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেকে। তবে তাঁর অভিজ্ঞতার বর্ণনা সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সাড়া ফেলেছে।