পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা বন্ধের শর্ত দিল উত্তর কোরিয়া
যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়া বন্ধ হলে, উত্তর কোরিয়াও তার পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা বন্ধ করবে। সম্প্রতি বার্তা সংস্থা এপির কাছে এক সাক্ষাৎকারে এমন শর্তের কথা বলেছেন উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি সু-ইয়ং।
রি সু-ইয়ং এপিকে বলেন, পশ্চিমা বিশ্বের নিষেধাজ্ঞায় আতঙ্কিত নয় উত্তর কোরিয়া। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এক শীর্ষ কমকর্তা বলেছেন, যৌথ সামরিক মহড়া দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার।
এর আগে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, পরমাণু অস্ত্র তৈরির অধিকার তাদের আছে। আর যুক্তরাষ্ট্রের কারণেই নিজেদের প্রতিরক্ষার জন্য তারা এমন অস্ত্র বানাতে বাধ্য হয়েছে। তিনি মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়া বন্ধ হলে এই অঞ্চলে উত্তেজনা কমানোর আলোচনা হতে পারে।
উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি সু-ইয়ং আরো বলেন, বর্তমান পথে চলতে থাকলে, এর পরিণাম হবে ভয়াবহ। শুধু দুই দেশ নয় সারা বিশ্বই এই পরিণামে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
জানা গেছে, উত্তর কোরিয়ার কোনো শীর্ষ কর্মকর্তার এমন সাক্ষাৎকার বিরল। জাতিসংঘে দেশটির কূটনৈতিক মিশনে এই সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়।
এদিকে উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, গত শনিবার সাবমেরিন থেকে চালানোর ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা সফল হচ্ছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ জানিয়েছে, পানির নিচ থেকে চালানো ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষায় সব কারিগরি বিষয় সঠিকভাবে কাজ করেছে। এখন উত্তর কোরিয়া পানির নিচ থেকেও হামলা চালাতে সক্ষম। আর এই পরীক্ষার মাধ্যমে দেশটির পরমাণু অস্ত্রের হামলা চালানোর সক্ষমতাও বেড়েছে।
২০০৬ সালে জাতিসংঘের এক নির্দেশে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।