জামাইষষ্ঠীতে সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি, তৃণমূল মিষ্টি
হিন্দু সম্প্রদায়ের রেওয়াজ অনুযায়ী আজ শুক্রবার জামাইষষ্ঠী। এই দিনে শ্বশুরবাড়ি গিয়ে জামাইদের পোয়াবারো। ভূরিভোজ থেকে আদর আপ্যায়নে তাদের কালঘাম ছুটে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়। জামাইদের পাতে মাছ, ভাত আর মৌসুমি ফলের সঙ্গে থাকে হরেক পদের মিষ্টি।
এবারের জামাইষষ্ঠীতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে দেখা গেছে নতুন ঐতিহ্য। বাজারে মিলছে সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি, তৃণমূল মিষ্টি। প্রিয় দলের প্রতীকের আদলে তৈরি মিষ্টি এবারের জামাইষষ্ঠীর মূল আকর্ষণ। পশ্চিমবঙ্গের বাজারে দেদার বিক্রি হচ্ছে এমন মিষ্টি।
বিশেষভাবে তৈরি উল্লিখিত মিষ্টিতে স্থান পেয়েছে সিপিএমের প্রতীক কাস্তে হাতুড়ি তারা, কংগ্রেসের প্রতীক হাত, বিজেপির প্রতীক পদ্মফুল, তৃণমূলের প্রতীক ঘাসফুল। অবশ্য বাদ নেই সমাজবাদী পার্টির হাতি চিহ্নের মিষ্টিও।
জামাইষষ্ঠীর সকালে শ্বশুররা দোকানে গিয়ে জামাইদের সমর্থিত রাজনৈতিক দলের প্রতীকের মিষ্টি কিনে নিয়ে যান। পরে থালাভরে সেই মিষ্টি তুলে দেওয়া হচ্ছে জামাইয়ের পাতে। মোটের ওপর রাজনীতির রং দিয়েই জামাই সন্তুষ্ট করতে এবারে উঠেপড়ে লেগেছেন পশ্চিমবঙ্গের শ্বশুর-শাশুড়িরা।
পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার রিষড়া এলাকার প্রায় ২০০ পুরোনো এক মিষ্টির দোকানের মালিক অমিতাভ দে বলেন, জামাইদের খুশি করতে শ্বশুর-শাশুড়িরা কত কী খাওয়ান। এর ধারাবাহিকতায় জামাইকে তুষ্ট করতে এবার রাজনৈতিক দলের প্রতীক দিয়ে মিষ্টি বানানো হয়েছে। এখন জামাইয়ের থালার মিষ্টি দেখেই চেনা যাবে তিনি কোন দলের সমর্থক।
অমিতাভ দে আরো বলেন, ক্ষীর দিয়ে তৈরি রাজনৈতিক প্রতীকের মিষ্টি ১০ থেকে ৫০ রুপি পিস হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। জামাই সন্তুষ্ট করায় এমন অভিনব মিষ্টি তুলে দিতে পিছপা হচ্ছেন না কোনো শ্বশুর-শাশুড়ি। তাই তো জামাইষষ্ঠীর সকাল থেকেই মিষ্টির দোকানে দীর্ঘ লাইন।