সেনা কারফিউ ভেঙে রাস্তায় তুর্কিরা
মার্শাল ল (সেনাশাসন) ঘোষণা করে তুরস্কের সেনাবাহিনীর একটি অংশ দেশজুড়ে কারফিউ করেছিল। তবে এই কারফিউ ভেঙে অভ্যুত্থানের চেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে তুরস্কের জনগণ। বড় শহর ইস্তাম্বুলের বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থাপনাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় তুর্কিরা জড়ো হয়েছে।
অভ্যুত্থানচেষ্টার পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান জনগণকে রাস্তায় নেমে অভ্যুত্থানের চেষ্টাকারী সেনাবাহিনীর একাংশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করার আহ্বান জানান। এর মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের প্রতি জনগণকে সমর্থনের আহ্বান জানান তিনি।
যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট জানায়, কয়েক হাজার তুর্কি ইস্তাম্বুলের ঐতিহাসিক সব স্থাপনার সামনে জড়ো হয়েছেন। ট্রাংকসহ সামরিক যান নিয়ে রাস্তায় অবস্থান করছেন সেনাবাহিনীর একাংশের সদস্যরা। এদিকে রাস্তায় যাওয়া তুর্কিদের বাড়ি ফেরার আহ্বান জানাচ্ছেন সেনারা।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের বার্তা সংস্থা সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেন, ‘সামরিক বাহিনীর মধ্যে সংখ্যালঘু একটি অংশ অভ্যুত্থানের চেষ্টা করেছে।’
এদিকে তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এফকান আলা তুরস্কের প্রতিটি সিটি সেন্টারে জনগণকে উপস্থিত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
ইনডিপেনডেন্ট জানায়, ইস্তাম্বুলের তাকসিম স্কয়ারে অনেক তুর্কি জড়ো হয়েছেন। উপস্থিত জনগণের মধ্যে অনেকেরই হাতে জাতীয় পতাকা।
রাস্তায় নামা তুর্কিরা সেনাবিরোধী স্লোগান দেন। অনেকেই ট্যাংকের ওপর উঠে বিক্ষোভ করেন। ইস্তাম্বুল ছাড়াও রাজধানী আঙ্কারাসহ অন্যান্য শহরে বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ইনডিপেনডেন্ট আরো জানায়, পরিস্থিতির খারাপ হয়ে দাঁড়ানোয় পার্লামেন্ট ভবনের চার পাশে ট্যাংক থেকে গোলা ছোড়া হয়েছে। সামরিক হেলিকপ্টার থেকেও আঙ্কারা শহরে গুলি ছোড়া হয়েছে।
তুরস্কের টেলিভিশনের এক ভিডিওতে দেখা যায়, বসফরাস ব্রিজের ওপর থাকা জনগণ গুলি থেকে বাঁচতে রাস্তায় শুয়ে পড়ে। এ সময় জোরে গুলির শব্দ শোনা যায়।