বই পড়ার সময় নেই, বললেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, বই পড়ার সময় নেই তাঁর। কখনোই এ জন্য তিনি সময় পাননি। তিনি অনেক কাজে সব সময় ব্যস্ত থাকেন। এখন তো ট্রাম্প আরো ব্যস্ত।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, নিজে সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হলেও ডোনাল্ড ট্রাম্প কখনোই প্রেসিডেন্টদের জীবনী পড়েননি। তবে কোনোদিন হয়তো এমন বই পড়বেন বলে আশা প্রকাশ করেন এই মার্কিন ধনকুবের।
এনডিটিভি জানায়, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ডেস্কজুড়ে গাদা করে রাখা হয় সাময়িকী, যার প্রায় সবগুলোর প্রচ্ছদে থাকে তাঁরই ছবি। প্রায় প্রতিদিন সকালেই সংবাদের জন্য একগাদা ছাপানো কাগজ ডেস্কে রাখেন ট্রাম্পের অফিস সহকারী। তবে ট্রাম্পের অফিসে কোনো বইয়ের তাক নেই। কোনো কম্পিউটারও নেই ট্রাম্পের ডেস্কে।
এর আগে কয়েকটি সাক্ষাৎকারে ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে বিশদ পড়াশোনার দরকার নেই। তিনি বলেন, কোনো বিষয়ে আগে থেকেই জানা জ্ঞানের সঙ্গে সামান্য জানা এবং ‘সাধারণ কাণ্ডজ্ঞান’ (কমনসেন্স) দিয়ে অনেক সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ট্রাম্প দাবি করেন, তাঁর সাধারণ কাণ্ডজ্ঞান প্রচুর এবং ব্যবসার যথেষ্ট সক্ষমতা আছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প আরো দাবি করেন, এর আগে তাঁর সিদ্ধান্তকে প্রচুর পড়াশোনা করে নেওয়াদের সিদ্ধান্তের চেয়েও সঠিক বলে জানিয়েছে অনেকে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টরা কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণ বিশেষ বিষয়ে বিশদভাবে পড়াশোনা করেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে কোনো বিষয় সংক্ষেপ করে প্রেসিডেন্টকে বোঝানো হয়। তবে পড়াশোনা কম করেও সিদ্ধান্ত নেওয়ার কিছু প্রেসিডেন্টের কথা জানান ইতিহাসবিদরা।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, জর্জ ডব্লিউ বুশ, জিমি কার্টার ও রিচার্ড নিক্সন কোনো বিষয়ে বিস্তর পড়াশোনা করে তবেই সিদ্ধান্ত নিতেন। বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও সেই পথের অনুসারী। তবে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট আইজেনহাওয়ার, রোনাল্ড রিগান, জর্জ ডব্লিউ বুশ সংক্ষিপ্ত পড়াশোনা থেকেই সিদ্ধান্ত নিতেন।