তুরস্কে তিন মাসের জরুরি অবস্থা
ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের পর এবার তুরস্কে তিন মাসের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।
বৃহস্পতিবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির রাজধানী আঙ্কারায় প্রেসিডেনশিয়াল ভবনে এরদোয়ান এক ভাষণে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘সশস্ত্র বাহিনীর মধ্য থেকে সব ভাইরাস ঝেড়ে ফেলা হবে। শুদ্ধি অভিযান গণতন্ত্র, আইন ও স্বাধীনতার পরিপন্থী হবে না।’
সেনা অভ্যুত্থানচেষ্টা প্রতিহত করতে যেসব নিরস্ত্র নাগরিক ঝাঁপিয়ে পড়েন, তাঁদের প্রশংসা করেন এরদোয়ান।
আঙ্কারায় দেশটির মন্ত্রিসভা ও নিরাপত্তা কাউন্সিলের সঙ্গে বৈঠকের পর এরদোয়ান জরুরি অবস্থা ঘোষণা করলেন।
স্থানীয় সময় ১৫ জুলাই দিবাগত রাতে তুরস্কের সেনাবাহিনীর একাংশের অভ্যুত্থানচেষ্টার পর প্রায় ১০ হাজার মানুষকে আটক করেছে দেশটির আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
সরকারি তথ্যমতে, সেনা অভ্যুত্থানচেষ্টার সময় ২৪৬ জন নিরস্ত্র মানুষ নিহত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অভ্যুত্থানচেষ্টার ঘটনার পর ৫০ হাজার সরকারি কর্মী গ্রেপ্তার, পদচ্যুত ও সাময়িক বরখাস্ত হয়েছে। অভ্যুত্থানচেষ্টায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত বুধবার ৯৯ সেনাসদস্যকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
সেনাদের অভ্যুত্থানচেষ্টার ঘটনার পর থেকে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ও কর্মীদের পদচ্যুত করা হয়েছে এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির প্রশাসন। এ ছাড়া শিক্ষার প্রয়োজনে বিদেশে ভ্রমণও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
তুরস্কের গণমাধ্যম জানিয়েছে, ফেতুল্লাহ গুলেনের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার অভিযোগে বিভিন্ন গণমাধ্যমের ৩৪ সাংবাদিকের নামের তালিকা করেছে দেশটির সরকার। এঁদের বিভিন্ন সভা-সেমিনারে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।