এবার বক্তৃতা-বিতর্কে ট্রাম্পের ছেলে

রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্ত্রী মেলিনার পর এবার বক্তৃতা বিতর্কে জড়ালেন তাঁর বড় ছেলে ডোনাল্ড জুনিয়র ট্রাম্পও। এর আগে মেলিনা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফার্স্ট লেডি’ মিশেল ওবামার বক্তব্য ‘চুরির’ অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছিল।
সর্বশেষ গত বুধবার ওহাইয়োর ক্লিভল্যান্ডে রিপাবলিকান পার্টির সম্মেলনে দেওয়া বক্তৃতায় ‘আমেরিকান কনজারভেটিভ আর্টিকল’ পত্রিকায় গত মে মাসে প্রকাশিত একটি প্রবন্ধের প্রায় পুরোটাই নকল করেছেন ট্রাম্প জুনিয়র। যা নিয়ে বৃহস্পতিবার দিনভর হাসিঠাট্টা চলেছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে। টুইটারে অনেকেই গোটা ট্রাম্প পরিবারকেই ‘বক্তব্য চোর’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, গত বুধবার দলীয় সম্মেলনে ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণার পর সেখানে বক্তৃতা দেন ট্রাম্প জুনিয়র। ওই বক্তব্যে জুনিয়র বলেন, ‘মধ্যবিত্তদের উন্নয়নে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা আরো উপযোগী করা হোক। কিন্তু আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা অনেকটা সোভিয়েত আমলের ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের মতো। যেখানে ক্রেতাদের বদলে কেরানিরাই বেশি লাভবান হন।’
ট্রাম্প জুনিয়রের ওই বক্তব্যের পরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়। টুইটারে তথ্যপ্রমাণসহ হাজির করা হয় যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা প্রাবন্ধিক এফ এইচ বাকলের লেখা নকল করেছেন তিনি। জানাজানি হয়, গত মে মাসে লেখা নিবন্ধ ‘ট্রাম্প ভার্সেস নিউ ক্লাস’-এর লাইন তুলে তুলে বক্তৃতা করেছেন জুনিয়র। ওই প্রবন্ধেই বাকলে লিখেছিলেন, ‘দেশের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনেকটা সোভিয়েত জমানার ডিপার্টমেন্টাল স্টোরগুলোর মতো। সেখানে ক্রেতাদের তুলনায় কেরানিরাই বেশি সুবিধা পান।’
তবে ট্রাম্প জুনিয়র জানান, প্রাবন্ধিক এফ এইচ বাকলেই তাঁর বক্তৃতার খসড়ার লেখক। এ সম্পর্কে বাকলের একটি টুইট রিটুইট করেন তিনি। যাতে বাকলে লিখেছেন, ‘সজ্ঞানে কিছু নকল করা হয়নি। যদি হয়েও থাকে, তাতেও অন্যায় কিছু করা হয়নি।’
তবে বরাবরের মতোই ট্রাম্প এ ধরনের কোনো বিতর্ককে পাত্তা না দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছেন। গার্ডিয়ানের এ সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প বলেন, ‘এখন আপনাদের প্রশ্ন হওয়া উচিত প্রার্থিতা নিশ্চিতের পর আমি এখন কী করব? আমার পরিকল্পনা কী? আমি এই মুহূর্তে এই ধরনের ছোটখাটো বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না।’