‘সন্ত্রাসী দেশ থেকে আর আমেরিকায় নয়’

যুক্তরাষ্ট্রে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী নির্বাচিত হয়েই আবার আগের ভূমিকায় দেখা গেল ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। প্রতিদ্বন্দ্বী হিলারি ক্লিনটনকে আক্রমণের পাশাপাশি অভিবাসীদের নিয়ে আবার সরব হলেন বিতর্কিত এই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী।
নির্বাচিত হলে সন্ত্রাসের সঙ্গে কোনো রকম যোগসূত্র আছে এমন দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসী নেওয়া বন্ধ করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাতে ক্লিভল্যান্ডে দেওয়া বক্তব্যে ট্রাম্প আরো বলেন, ‘আগামী বছরের শুরু থেকেই এক নতুন দেশকে আবিষ্কার করবে আমেরিকাবাসী। দুর্বল অভিবাসননীতি আর নয়। সন্ত্রাসী আছে এমন দেশ থেকে কেউ আর আমেরিকায় আসতে পারবে না।’
ট্রাম্প বলেন, ‘সন্ত্রাস অধ্যুষিত দেশের নাগরিকদের আমেরিকায় প্রবেশ করতে দেওয়া চলবে না। তাদের হাত ধরেই দেশে হিংসা ও মাদক ছড়িয়েছে।’ বেআইনি অভিবাসন রুখতে সীমান্ত মজবুত করার কথাও বলেন তিনি।
নিউইয়র্কের এই ধনকুবের আরো বলেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর প্রথম কাজ হবে যুক্তরাষ্ট্রের সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করা। আর নভেম্বরের নির্বাচনে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন রাজনীতিবিদ হিসেবে তাঁর অবস্থান বুঝে যাবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী হামলার ফলে দেশবাসী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে উল্লেখ করে এই পরিস্থিতির জন্য ওবামা সরকারকে দায়ী করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘ওবামা সরকারই দরিদ্রতা ও বেকারত্ব বৃদ্ধির জন্য দায়ী। তাঁর আমলেই সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে আমেরিকা। সময় এসেছে আমেরিকায় নেতৃত্ব বদলের।’
ট্রাম্পের দাবি, ‘বিশ্বব্যাপী জঙ্গিবাদের এই সময়ে একমাত্র আমিই আমেরিকাবাসীকে উদ্ধার করতে পারব। আপনাদের হয়ে আমি একা লড়ব। ক্ষমতায় এলে দেশে নিরাপত্তা ও শান্তি ফিরিয়ে আনবই।’
হিলারিকে আক্রমণ করে ট্রাম্পের বক্তব্য, ‘তিনি (হিলারি) যোগ্য নেত্রী নন। অন্যের কথায় ওঠেন-বসেন তিনি। তিনি শুধু ধ্বংসই আনতে পারেন। অনুগ্রহ করে নভেম্বরে তাঁকে ভোট দেবেন না।’
ক্লিভল্যান্ডে দেওয়া বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, ‘হিলারি সরকারের সঙ্গে যুক্ত থাকাকালীন চার বছরে আমেরিকা কী পেয়েছে? তাঁর নিষ্ক্রিয়তার কারণেই মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে আইএস। বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসী হামলা করছে তারা। এই পরিস্থিতিতে লিবিয়ায় আমাদের রাষ্ট্রদূত ও তবাকি কর্মীদের অসহায় অবস্থায় মরার জন্য ফেলে রাখা হয়েছিল। কিন্তু আমি থাকলে এসব চলবে না।’