উদ্ধারকারী জাহাজের ধাক্কায় ভূমধ্যসাগরে নৌযানডুবি!
ভূমধ্যসাগরে অভিবাসীবাহী নৌযান ডুবে আট শতাধিক মানুষ নিহতের জন্য উদ্ধারকারী কার্গো জাহাজাকেই দায়ী করছেন অনেকে। জাতিসংঘের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ধারণা করা হয় কার্গো জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা বা দুলুনিতে নৌযানটি ডুবে যায়।
জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থার এক মুখপাত্র কার্লোত্তা আসামি বলেন, উদ্ধার হওয়া কয়েকজনের সঙ্গে তিনি ও তাঁর দুই সহকর্মী কথা বলেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, বড় একটি জাহাজ দ্রুত আসছিল। এতে ভারী ঢেউয়ের সৃষ্টি করে। এই কারণেই অভিবাসীবাহী নৌযানটি প্রচণ্ড দুলুনির শিকার হয় এবং ভারসাম্য হারিয়ে উল্টে যায়।
কার্লোত্তা আসামির বক্তব্যের সঙ্গে পূর্বে কর্তৃপক্ষের দেওয়া বক্তব্যের মিল নেই। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য অনুযায়ী, উদ্ধারকারী কার্গো জাহাজটি নৌযানের কাছে এলে এতে থাকা অভিবাসীরা একপাশে চলে আসেন। এর ফলে নৌযানটি ভারসাম্য হারিয়ে উল্টে পড়ে ও ডুবে যায়।
এর পরস্পরবিরোধী বক্তব্যের মাধ্যমে একটি জিনিসই স্পষ্ট হয়ে ওঠে, ভূমধ্যসাগরের বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে অভিবাসীবাহি নৌযানের সহায়তা করতে বলা হলেও তাদেরও ঝামেলায় পড়তে হয়।
অভিবাসীবাহী নৌযানের সাহায্যের বার্তা শুনতে পেয়ে প্রথম সহায়তার জন্য যায় পর্তুগিজ কার্গো জাহাজ কিং জেকব। এখনো জাহাজ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
অভিবাসীবাহী নৌযানে কতজন যাত্রী ছিল তা নিয়েও এখনো সংশয় আছে। ধারণা করা হয় ৮০০ থেকে ৮৫০ জন যাত্রী ছিল।
ইতালির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কিং জেকব কার্গো জাহাজের ২৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে ২৪টি।

অনলাইন ডেস্ক