ইতালিতে ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্প, ছয়জন নিহত
ইতালির মধ্যাঞ্চলে ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। এ ঘটনায় ছয়জন নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টা ৩৬ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
ভূমিকম্পে ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসাবশেষের নিচে আটকা পড়েছেন অনেকে। উদ্ধারকাজ চলছে বলে জানিয়েছেন ইতালির কর্মকর্তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তথ্যমতে, এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল দেশটির পেরুজা শহরের ৭৬ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল। ভূপৃষ্ঠ থেকে উৎপত্তিস্থলের গভীরতা ছিল মাত্র ১০ কিলোমিটার।
পেরুজা শহরের মেয়র বলেন, ভূমিকম্পে শহরের অর্ধেকই ধ্বংস হয়ে গেছে।
ইতালির ‘লা রিপাবলিকা’ পত্রিকা জানায়, ভূমিকম্পের সময় রাজধানী রোমের কিছু ভবন ২০ সেকেন্ড ধরে কাঁপছিল।
ইতালির অ্যাকুমালি শহরের মেয়র স্টেফানো পেতরুচ্চি দেশটির রাই টিভিকে বলেন, শহরের ধসে পড়া একটি ভবনের নিচে চাপা পড়ে একই পরিবারের চারজন নিহত হয়েছেন।
অপর এক প্রতিবেদনে রাই টিভি জানায়, পেসকারা দেল ত্রন্তো শহরের কাছে একটি গ্রামে আরো দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
এ ছাড়া বিভিন্ন প্রতিবেদনে জানা গেছে, আমাতরিচা শহরেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শহরের মেয়র সারজু পেরোজ্জি রাই রেডিওকে বলেন, শহরে যাতায়াতের সড়ক ভেঙে পড়েছে। শহরের অর্ধেকই ধ্বংস হয়ে গেছে।
ইতালির বেসামরিক প্রতিরক্ষা দপ্তর ভূমিকম্পকে মারাত্মক বলে বর্ণনা করেছে।
লা রিপাবলিকা পত্রিকা জানায়, প্রাথমিকভাবে ভূমিকম্পের মাত্রা ৬ দশমিক ৪ বলা হয়। পরে আরো কয়েকবার বেশ শক্তিশালী ভূকম্পন হয়।
ইতালির আমব্রিয়া অঞ্চলের চেজেল্লি এলাকার বাসিন্দা লিনা মার্সেলিনা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ভূমিকম্প এতটাই শক্তিশালী ছিল যে তাঁর মনে হয়েছিল, বিছানাগুলো নিজ থেকেই হাঁটাহাঁটি করছে।
এর আগে ২০০৯ সালে ইতালির আকুইলা অঞ্চলে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। ভূমিকম্পটি রোম থেকেও টের পাওয়া যায়। ওই ভূমিকম্পে তিন শতাধিক মানুষ নিহত হন।