থাই-মালয়েশিয়া সীমান্তে মানব পাচারকারীদের ৬০টি ঘাঁটি
থাইল্যান্ডে মানব পাচারকারীদের দু-একটি ক্যাম্পের নির্যাতন দেখেই মানুষ স্তম্ভিত। থাই-মালয়েশিয়া সীমান্তের পাহাড়ি ও দুর্গম অঞ্চলে কমপক্ষে এমন ৬০টি ঘাঁটি আছে মানব পাচারকারীদের। থাইল্যান্ডের রোহিঙ্গা অ্যাসোসিয়েশনের এক সাবেক প্রেসিডেন্ট এই দাবি করেছেন।
থাইল্যান্ডের রোহিঙ্গা অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট আবদুল কালাম ব্যাংকক পোস্টকে বলেন, গত শুক্রবার পাচারকারকারীদের একটি ক্যাম্পের যে নির্যাতনের চিত্র পাওয়া গেছে তা অতি সামান্য।
থাই-মালয়েশিয়া সীমান্তের পাহাড়ি ও দুর্গম অঞ্চলে মানব পাচারকারীদের এমন ঘাঁটি আছে কমপক্ষে ৬০টি। বেশির ভাগ ঘাঁটিই মালয়েশিয়ার মধ্যে। আর প্রতিটি ঘাঁটিতে ১৫০ থেকে ৮০০ পর্যন্ত অভিবাসী আছে।urgentPhoto
থাইল্যান্ডের সাদাও এলাকায় উদ্ধারকৃত ২৬টি মরদেহের মধ্যে ২০ জনের জানাজা সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়। আবদুল কালাম এতে অংশ নেন।
আবদুল কালাম জানান, এক মাস আগে পাচারকারীদের ঘাঁটি থেকে পালিয়ে আসা দুজন রোহিঙ্গাকে তিনি সহায়তা করেন। ওই রোহিঙ্গারা জানান কী ভয়াবহ নির্যাতন করা হতো তাঁদের।
নির্যাতনের মুখে এসব অভিবাসীর বাড়িতে যোগাযোগ করে মুক্তিপণ চাওয়া হতো। অনেকে নির্যাতনেই মারা যান। অনেক সময় মুক্তিপণের অর্থ দিয়েও ছাড়া পাওয়া যেত না। অনেক বাংলাদেশিও নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যান।
সম্প্রতি বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা অভিবাসীদের গণকবর পাওয়ার পর তৎপর হয়ে উঠেছে থাইল্যান্ডের প্রশাসন।
থাইল্যান্ডের উপপুলিশ প্রধান চাকথিপ চেইচিনদাকে মানব পাচারকারীদের ওপর তদন্ত করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে দেশটির হাত ইয়াই এলাকায় পাচারকারীদের ঘাঁটির সংখ্যাও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
চাকথিপ চেইচিনদাকে নিশ্চিত করেছেন থাই-সীমান্তে মানব পাচারকারীদের অনেক ঘাঁটি আছে। তবে সংখ্যা সম্পর্কে তিনি নিশ্চিত নন।
থাইল্যান্ডের চতুর্থ সেনা অঞ্চলের কমান্ডার লেফ. জেনারেল প্রকাম চোনলায়ুথ বলেন, তিনি মালয়েশিয়ার কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন এবং সীমান্তবর্তী অঞ্চলের মানবপাচারকারীদের রোধে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেবেন।