পরাজয়ের পর এড মিলিব্যান্ডের পদত্যাগ
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/05/08/photo-1431091466.jpg)
যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে লেবার পার্টির ভরাডুবির পর পরাজয়ের দায় স্বীকার করে দলের প্রধানের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন এড মিলিব্যান্ড। একই সাথে পদত্যাগ করেছেন তাঁর ডেপুটি নিক ক্ল্যাগও। দলের ভারপ্রাপ্ত প্রধানের দায়িত্ব নিয়েছেন তাঁদেরই সতীর্থ নেত্রী, দলের সাবেক উপপ্রধান হ্যারিয়েট হারমান।
টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে লেবার পার্টি এমন ভরাডুবির পর দলের অনেক নেতাই মিলিব্যান্ডের পদত্যাগের দাবি তোলেন। তবে তাঁর পদত্যাগ চাওয়া নেতারা বলেছেন, নির্বাচনী প্রচারণায় কিছু ভুল পদক্ষেপ ছাড়া ভালো প্রস্তুতি ছিল সবার। ভালো ফলাফলের জন্য মিলিব্যান্ডের পরিকল্পনা এবং উদ্যোগগুলোকে স্বাগত জানিয়েছিলেন তাঁর দলের নেতারা।
টেলিগ্রাফের কাছে মিলিব্যান্ড দাবি করেন, নির্বাচনে দলকে জেতাতে তিনি চেষ্টার কোনো কমতি রাখেননি। ভোটের আগের জরিপে দুই দলের মধ্যে তীব্র লড়াইয়ের আভাসই পাওয়া যাচ্ছিল। তবে নির্বাচনে লেবার পার্টির এমন ফলাফলে সবাই আশাহত হয়েছে। বিশেষ করে স্কটল্যান্ডে এবার রেকর্ডসংখ্যক ৪৪টি আসন হাতছাড়া করেছে লেবার পার্টি। স্কটল্যান্ডে এভাবে সমর্থন হারিয়ে ভরাডুবির কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না বলে জানান মিলিব্যান্ড।
পদত্যাগের আগে এক বক্তৃতায় দলের জন্য গত রাতকে খুবই হতাশাব্যঞ্জক ও কঠিন বলে বর্ণনা করে গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন মিলিব্যান্ড। এবং পরাজয় স্বীকার করে ডেভিড ক্যামেরন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার আগেই পদত্যাগ করার ঘোষণা দেন। একই সাথে প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরনের সরকারের প্রতি শুভকামনা জানান তিনি।
যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে (প্রতিনিধি সভা) আসন ৬৫০টি। এখানে সরকার গঠনে প্রয়োজন ন্যূনতম ৩২৬টি আসন। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ঘোষিত ৬৪৬টি আসনের ফলাফলে কনজারভেটিভরা পেয়েছে ৩২৭টি। লেবার পার্টি ২৩২, স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টি (এসএনপি) ৫৬টি আসন পেয়েছে।
এবারের সাধারণ নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টি ৬৪৮ আসনে প্রার্থী দেয়। লেবার ও লিবারেল ডেমোক্র্যাটস উভয় পার্টির প্রার্থীসংখ্যা ৬৩১ জন করে। যুক্তরাজ্যের নির্বাচনী সংস্কৃতি অনুযায়ী এই তিনটি দলই স্পিকার জন বার্কোর আসনে কোনো প্রার্থী দেয়নি।