রেকর্ড ঋণ মাথায় নিয়ে হতে হবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট

কিছুদিন পর হোয়াইট হাউস ছাড়বেন বারাক ওবামা। নতুন যিনি আসবেন, তাঁর জন্য তিনি রেখে যাচ্ছেন ১৪ লাখ কোটি ডলারের ঋণের বোঝা। নতুন প্রেসিডেন্টকে এ ঋণ মাথায় নিয়ে শুরু করতে হবে যাত্রা।
নিজের উত্তরসূরির জন্য বিশাল অঙ্কের ঋণ রেখে যাচ্ছেন ওবামা। যা মার্কিন ইতিহাসে রেকর্ড। ব্লুমবার্গ জানাচ্ছে, ট্রাম্প বা হিলারি যিনিই প্রেসিডেন্ট হোন না কেন, তাঁর জন্য ব্যাপারটি হবে ব্যাপক চ্যালেঞ্জের।
ক্ষমতায় আসার পর বারাক ওবামা কিছু সুবিধা পেয়েছিলেন। আর ওই কারণে ১৯৩০ সালের পর মার্কিন অর্থনীতিতে আসা বিরাট ধাক্কা সামলাতে পেরেছিলেন। ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার কম রেখেছিল। আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীরা দেশটির প্রতি আগ্রহ হারায়নি। বিশেষ করে চীনের বিনিয়োগকারীদের ভূমিকা ছিল অসাধারণ।
কিন্তু দিন বদলে গেছে। সুদের হার বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছে ফেডারেল রিজার্ভ। এই সময়েই মার্কিন বন্ডের সুদের হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে আছে। সরকারের ঋণের বোঝা ওবামার সময়ে এসে দ্বিগুণ হয়েছে। ঋণের পরিমাণ এখন রেকর্ড পরিমাণ যা প্রায় ১৪ ট্রিলিয়ান ডলারের মতো। বাড়ছে ঘাটতি বাজেটের পরিমাণ। ২০১৩ সালের পর মার্কিন ট্রেজারিতে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণও কমতে শুরু করেছে।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইয়ারডেনি রিসার্চের প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড ইয়ারডেনি বলেন, ‘আমরা (মার্কিনিরা) খুব খারাপ অবস্থায় আছি। এতদিন ধরে আমরা চলার মধ্যেই আছি। কিন্তু হঠাৎই সামনে দেয়াল দেখা যাচ্ছে।’
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যিনিই জিতুন, এ ব্যাপারগুলো তাঁদের পরিকল্পনায় বড় বাধা হয়ে দাঁড়াবে। ট্রাম্প ও হিলারি উভয়ই কথা দিয়েছেন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করার। এ ছাড়া কর নিয়ে উভয়েরই আছে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি। বিশ্বের সবচেয়ে দৃঢ় বন্ড বাজারের ভবিষ্যৎ নিয়েও উভয়কে ভাবতে হবে।
খুব একটা ভরসা পাচ্ছেন না অর্থনীতিবিদরা। দুর্বল রাজস্বনীতি ঋণের বোঝা আরো বাড়িয়ে দিতে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের।
হিলারি ক্লিনটন ২৭৪ বিলিয়ন ডলারের অবকাঠামো বিনিয়োগ পরিকল্পনার প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি ধনীদের ওপর কর আরো বাড়াবেন। গবেষণা সংস্থা নন-পার্টিজান কমিটি ফর এ রেসপনসিবল ফেডারেল বাজেটে বিশ্লেষণে দেখা যায়, এতে এক দশকে ঋণ বাড়াবে ২০০ বিলিয়ন ডলার।
অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প ৫০০ বিলিয়ন ডলারের অবকাঠামো বিনিয়োগ পরিকল্পনার প্রস্তাব দিয়েছেন। কমিটি ফর আ রেসপনসিবল ফেডারেল বাজেট জানিয়েছে, ট্রাম্পের প্রস্তাবে ঋণের আকার ৫ দশমিক তিন ট্রিলিয়ন ডলার বাড়বে।