তালিকায় সারা পলিন, আছেন লুকাসের মালিকও!

ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্ত্রিসভায় থাকছেন সারা পলিন! গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করেছিলেন ওই রিপাবলিকান। শুধু তাই নয়, ট্রাম্পের মন্ত্রিসভায় সম্ভাব্যের তালিকায় অধিকাংশই ব্যবসায়ী ও ব্যাংকার। মন্ত্রী হতে পারে লুকাস তেলের মালিক ফরেস্ট লুকাসও!
গত মঙ্গলবার হিলারি ক্লিনটনকে পরাজিত করে আবারও রিপাবলিকানদের ক্ষমতায় এনেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। রিপাবলিকানদের মধ্যে কারা সরকারে থাকছেন, এ ব্যাপারে কৌতূহল খোদ মার্কিন দেশেই। সংবাদমাধ্যম বাজফিডের বরাত দিয়ে ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, এ-সংক্রান্ত কাজে গঠিত ট্রাম্পের এক কমিটি এরই মধ্যে ৪১ জনের একটি ‘ছোট তালিকা’ করেছে। ১৩টি বিভাগ চালাতে তাঁরা যথেষ্ট দক্ষ বলে দাবি ট্রাম্পের ওই সহকারী দলের।
তালিকায় বেশ দৃঢ় অবস্থানেই আছেন সারা পলিন। সম্ভাব্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তালিকায় আছে তাঁর নাম। ২০০৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী জন ম্যাককেইনের ‘রানিংমেট’, অর্থাৎ ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ছিলেন সারা পলিন। তিনিই প্রথম নারী প্রার্থী, যিনি রিপাবলিকানদের হয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে লড়েছিলেন। সেবার ওবামার জয়ের কারণে থেমে যেতে হয় পলিনকে। তবে তিনি ২০০৬ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত আলাস্কার গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তালিকায় আছেন জ্বালানি তেলের প্রভাবশালী ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান লুকাস অয়েলের কর্ণধার ফরেস্ট লুকাস। মার্কিন গণমাধ্যম ইন্ডিয়ানাপলিস বিজনেস জার্নাল জানিয়েছে, গত সেপ্টেম্বরেই ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, জয়ী হলে মন্ত্রিসভায় রাখবেন লুকাসকে। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে লুকাস জানান, তিনি এখনো জানেন না যে ট্রাম্পের সংক্ষিপ্ত তালিকায় তিনি আছেন। তবে ওই তালিকায় থাকার আগ্রহ তাঁর আছে। ৭৪ বছর বয়স্ক লুকাস ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠা করেন লুকাস অয়েল।
এ ছাড়া ট্রাম্পের মন্ত্রিসভার তালিকায় আছেন নিউইয়র্কের সাবেক মেয়র রুডি জুলিয়ানি, নিউ জার্সির গভর্নর ক্রিস ক্রিস্টি, প্রেসিডেন্ট মনোনয়নের লড়াইয়ে ট্রাম্পের কাছে পরাজিত বেন কারসন, ডিফেন্স ইন্টেলিজেন্সের সাবেক প্রধান মাইক ফ্লিন।
চিফ অব স্টাফ হিসেবে ট্রাম্পের পছন্দ রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটির চেয়ারম্যান রিয়েন্স প্রিবাসকে। ট্রাম্পের চোখে তিনি ‘বিশেষ এক ব্যক্তিত্ব’। ট্রাম্প বলেন, ‘এখানে আমরা একজন দারুণ ব্যক্তিকে পেয়েছি। আমি আপনাকে (প্রিবাস) বলতে চাই, আপনি বিশেষ একজন।’