ভাসমান অভিবাসীদের জীবন রক্ষাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন বলেছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সমুদ্রে আটকে পড়া অভিবাসীদের জীবন রক্ষার বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে। আজ শনিবার ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়, জাতিসংঘের মহাসচিব আশা করছেন, চলতি মাসের শেষের দিকে থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় অভিবাসী সংকটবিষয়ক সম্মেলনে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো সমুদ্রে পাড়ি দেওয়ার মূল কারণগুলো খুঁজে বের করে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
বান কি-মুন বলেন, ‘যখন লোকজন সমুদ্রে ভাসছে, তখন তাদের খুঁজে বের করে উদ্ধার করা এবং জীবন রক্ষাকারী মানবিক সহায়তা দেওয়াই হবে বর্তমানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’
এ সময় বান কি-মুন আরো বলেন, সমুদ্রে পাড়ি দেওয়া নিয়ে তিনি এরই মধ্যেই থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও মিয়ানমারের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। আলোচনায় তিনি লোকজন কেন পালাচ্ছে, তার কারণ খুঁজতে সুস্পষ্টভাবে বলে দিয়েছেন।
গত কয়েক সপ্তাহে সমুদ্রে পথে তিন হাজারের বেশি অভিবাসী ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায় আশ্রয় নেয়। এখনো অনেকে সমুদ্রে আটকা পড়া আছে বলে জানিয়েছেন উদ্ধার হওয়া অভিবাসীরা। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতেও অভিবাসীদের উপকূলে আশ্রয় নেওয়ার ওপর কড়াকড়ি আরোপ করে থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া। কিন্তু জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সংস্থা এবং পশ্চিমা বিভিন্ন দেশের চাপে পড়ে সাত হাজার অভিবাসীকে উদ্ধারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয় মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া।