অগ্নিপরীক্ষায় পাস করলেন এরদোয়ান

Looks like you've blocked notifications!
তুরস্কে ফের ক্ষমতায় রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।

দীর্ঘ দুই দশক ধরে তুরস্কে ক্ষমতায় আছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। ২০০৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর থেকে প্রেসিডেন্ট পদে রয়েছেন তিনি। এবারের নির্বাচনে এরদোয়ান হেরে যাবেন, নির্বাচন পূববর্তী জরিপগুলো সেই কথাই বলেছিল। জরিপকে পেছনে ফেলে প্রথম দফার নির্বাচনে এগিয়ে থাকেন তুরস্কের এই প্রেসিডেন্ট। তবে, নিধারিত ভোট না পাওয়ায় ভোট গড়ায় দ্বিতীয় দাফে। সেই পরীক্ষায়ও টিকে গেল এরদোয়ান। আজ রোববার (২৮ মে) তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনাদুলা এজেন্সির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে আল-জাজিরা।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) নেতা কেমাল কিলিকদারোগলুকে হারিয়ে মসদনে ফের বসলেন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একে পার্টি) নেতা এরদোয়ান।

আজকের নির্বাচনে ইতোমধ্যে ৯৭ শতাংশ ব্যালট বক্সের ভোট গণনা শেষে হয়েছে। এতে এরদোয়ান পেয়েছেন ৫২ দশমিক এক শতাংশ ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কিলিকদারোগলু পেয়েছেন ৪৭ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট।

আল-জাজিরা ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে এরদোয়ানকে বিজয়ী ঘোষণা করলেও আনুষ্ঠানিক দেশটির সুপ্রিম ইলেকশন কাউন্সিল এখনও ফলাফল নিশ্চিত করেনি।

দ্বিতীয় দফায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়েছে আজ রোববার (২৮ মে)। দেশটির স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনায় ছাড়ায় টানা  এক লাখ ৯২ হাজার ভোটকেন্দ্রে ৯ ঘণ্টাব্যাপী চলে ভোটগ্রহণ। এরপরই শুরু হয় গণনা।   

তুরস্কের স্থানীয় গণামাধ্যম ডেইলি সাবাহর তথ্যানুযায়ী, আজকের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা ছয় কোটি ৪১ লাখ ৯৭ হাজার ৪১৯ জন। এর মধ্যে ৮৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন। ইতোমধ্যে ৯৮ দশমিক ৫২ শতাংশ ব্যালট বক্সের ভোট গণনা শেষ হয়েছে। এতে ৫২ দশমিক ১১ অর্থাৎ, দুই কোটি ৬৯ লাখ ৯৬ হাজার ৪৬৮ ভোট পেয়েছেন এরদোয়ান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কিলিকদারোগলু পেয়েছেন দুই কোটি ৪৮ লাখ ৫৮ হাজার ৮৬৯ ভোট।

তুরস্কের নির্বাচনের নিয়ম অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট ভোটের প্রথম পর্বে যত ভোট পড়বে তার ৫০ শতাংশ সমর্থন পেতে হয় একজন প্রার্থীকে। গত ১৪ মে তুরস্কে পার্লামেন্ট নির্বাচনের পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হয় প্রেসিডেন্ট পদে ভোট। সেদিন প্রার্থীদের কেউই অর্জন করতে পারেননি কাঙ্ক্ষিত ৫০ শতাংশ ভোট । ফলে দ্বিতীয় ধাপে গড়ায় ভোট।