ইউক্রেনের বড় হামলা নস্যাৎ ও ২৫০ সৈন্য হত্যার দাবি রাশিয়ার

Looks like you've blocked notifications!
গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রার আক্রমণ শুরু করে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। এএফপির ফাইল ছবি

ইউক্রেনের একটি বড় আক্রমণকে ব্যর্থ করার পাশাপাশি তাদের ২৫০ জন সৈন্যকে হত্যার দাবি করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে কিয়েভ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। এছাড়া রাশিয়ার এই দাবিকে স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। খবর বিবিসির।

রুশ মন্ত্রণালয় জানায়, ইউক্রেন গতকাল রোববার (৪ জুন) দোনেৎস্ক অঞ্চলে ছয়টি যান্ত্রিক ও দুটি ট্যাংক ব্যাটালিয়ন দিয়ে আক্রমণ শুরু করেছিল।

যদিও আগে পাল্টা আক্রমণের কথা জানিয়েছিল ইউক্রেন, তবে রোববার কিয়েভ অপারেশনের আগে নীরব থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

বিবিসি জানায়, রাশিয়ার কাছ থেকে ইউক্রেনের ভূমি পুনরুদ্ধারের জন্য আক্রমণ শুরু হয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের টেলিগ্রাম পোস্টে বলা হয়, ‘৪ জুন সকালে দক্ষিণ দোনেৎস্কের দিকে সামনের পাঁচটি সেক্টরে বড় ধরনের একটি আক্রমণ শুরু করে শত্রুরা। তারা রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করার চেষ্টা করছিল। কিন্তু তারা লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি, তারা সফল হয়নি।’

মস্কোর পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যায়, আকাশ থেকে সামরিক যানে হামলা করা হচ্ছে। এতে ইউক্রেন ২৫০ জন সৈন্য এবং ১৬টি ট্যাংক হারিয়েছে বলে দাবি তাদের।

ইউক্রেন গত কয়েক মাস ধরে পাল্টা আক্রমণের পরিকল্পনা করছে। তবে তারা সৈন্যদের প্রশিক্ষণ এবং পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে সামরিক সরঞ্জাম পাওয়ার জন্য যতটা সম্ভব সময় চাচ্ছিল।

আক্রমণের বিষয়ে জল্পনা-কল্পনা নিয়ে জনসাধারণকে সতর্ক করে কিয়েভের কর্মকর্তারা বলেছেন, এটি শত্রুকে সাহায্য করতে পারে।

রোববার টেলিগ্রামে পোস্ট করা এক ভিডিওতে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘পরিকল্পনা নীরবতা পছন্দ করে৷ তাই (আক্রমণ) শুরুর কোনো ঘোষণা দেওয়া হবে না৷’

অনেকটাই ঝুঁকিতে থাকা কিয়েভের সরকারকে ইউক্রেনের জনগণ ও পশ্চিমা মিত্রদের দেখাতে হবে যে, তারা রাশিয়ার প্রতিরক্ষা লাইন ভেঙে ফেলতে পারে, সামরিক অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে পারে এবং তাদের কিছু সার্বভৌম ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করতে পারে।

অন্যদিকে, মস্কোর সরকারবিরোধী লিবার্টি অব রাশিয়া লিজিয়নের (এফআরএল) যোদ্ধারা দাবি করেছে, তারা ইউক্রেনের সীমান্তের কাছে বেলগোরোদে কিছু রুশ সৈন্যকে আটক করেছে।

রাশিয়ান ভলান্টিয়ার কর্পসের (আরডিকে) সঙ্গে এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি করে এফআরএল। উভয় গোষ্ঠীই প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায়। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রায় আক্রমণের বিরোধিতা করে তারা।

বেলগোরোদের শীর্ষ কর্মকর্তা ব্যাচেস্লাভ গ্ল্যাডকভ জবাবে বলেছেন, সৈন্যরা জীবিত থাকলে তিনি আটককারীদের সঙ্গে দেখা করতে চান। পরে যোদ্ধারা জানায়, গভর্নর তাদের সঙ্গে দেখা করার সাহস পাননি। তারা বন্দীদের ইউক্রেনের কাছে হস্তান্তর করবে।

রাশিয়া তাদের সীমান্ত এলাকায় সাম্প্রতিক হামলার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী করেছে। তবে এসব হামলায় সরাসরি জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে কিয়েভ।

গ্ল্যাডকভ পরে জানান, ড্রোন হামলায় বেলগোরোদে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন লেগেছে। তবে হামলার ঘটনা স্বাধীনভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মস্কো বলছে, অঞ্চলটি ইউক্রেনের নিয়মিত ড্রোন হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।