আমাদের বিদ্রোহ রাশিয়ার নিরাপত্তার ত্রুটি দেখিয়েছে : ওয়াগনার প্রধান

Looks like you've blocked notifications!
ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন গত শুক্রবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। ছবি : এএফপি

রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল ইউক্রেন যুদ্ধে রুশ বাহিনীর অন্যতম সহযোগী ও ভাড়াটে বেসরকারি বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপ। এই বিদ্রোহের ফলে রাশিয়ার নিরাপত্তা ত্রুটি স্পষ্ট হয়েছে বলে জানিয়েছে গ্রুপটির প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোঝিন। আজ সোমবার (২৬ জুন) এক অডিও বার্তায় এ কথা বলেন ‘পুতিন বাবুর্চি’ খ্যাত এই রাশিয়ান। খবর এএফপির।

ওই অডিও বার্তায় প্রিগোঝিন বলেন, ‘আমাদের কনভয়টি মস্কো থেকে ২০০ কিলোমিটার (১২৫ মাইল) দূরে থেমেছিল। এই পথে বিমান ঘাঁটিসহ সমস্ত সামরিক অবকাঠামো অবরুদ্ধ করেছিলাম আমরা। আমাদের এই বিদ্রোহ রাশিয়ার সামরিক ত্রুটি স্পষ্ট করছে।’

আজ প্রকাশিত ওই বার্তায় ওয়াগনার প্রধান বলেন, ‘রাশিয়ার শহরগুলোতে রুশ নাগরিকেরা জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে আমাদের সঙ্গে দেখা করেছিল। খুশি মনেই তারা এসেছিল। যখন আমরা তাদের অতিক্রম করছিলাম তারা সবাই হাসিখুশি ছিল।’

গত সপ্তাহে বিদ্রোহের ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রিগোঝিন। রাশিয়ার রোস্তভ শহরের নিয়ন্ত্রণও নেয় তারা। ঘোষণা দেয় মস্কো অভিমুখে যাওয়ার। এরপর জোরদার করা হয় মস্কোর নিরাপত্তা। তবে, বেলারুশ প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় থামে গ্রুপটি। বেলারুশে নির্বাসিত জীবনযাপন করতে রাজি হন প্রিগোঝিন।

বিদ্রোহ ঘোষণার পর প্রথমবারের মতো দেওয়া অডিও বার্তায় ওয়াগনার প্রধান আরও বলেন, ‘লুকাশেঙ্কো তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন এবং একটি আইনি এখতিয়ারে ওয়াগনার মিলিটারি কোম্পানিকে কাজ চালিয়ে যাওয়ার  সমাধান খুঁজে বের করার প্রস্তাব দিয়েছেন।’ বিদ্রোহ থেকে সরে আসার কারণ জানিয়ে প্রিগোঝিন বলেন, ‘আমরা আমাদের প্রতিবাদ দেখাতে রাশিয়ায় গিয়েছিলাম। ক্ষমতা থেকে কাউকে উৎখাত করতে আমরা যায়নি।’ তবে, অডিও বার্তায় নিজের অবস্থানকে স্পষ্ট করেননি ওয়াগনার প্রধান।