ইউক্রেনে ক্লাস্টার বোমা পাঠানোর সিদ্ধান্ত যুক্তরাষ্ট্রের দুর্বলতা : রাশিয়া
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ইউক্রেনে ক্লাস্টার বোমার মতো যুদ্ধাস্ত্র পাঠাতে ওয়াশিংটনের সিদ্ধান্ত আশাহীনতার নামান্তর এবং তা ইউক্রেনে মস্কোর সামরিক অভিযানের ওপর তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না। খবর এএফপির।
আজ শনিবার (৮ জুলাই) রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘এটা এক ধরনের আশাহীনতা এবং ব্যাপকভাবে আলোচিত ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণের বিষয়টি যে ব্যর্থ হচ্ছে তা প্রকাশ করে, পাশাপাশি প্রকাশ করে দুর্বলতা।’
ক্লাস্টার বোমার বিষয়ে জাখারোভা বলেন, ‘সুদূরপ্রসারী চিন্তাভাবনা ছাড়াই ওয়াশিংটন ও কিয়েভ এই মিরাকল অস্ত্রটি সম্পর্কে যে বাজি ধরতে যাচ্ছে তাতে রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানের ওপর কোনো প্রভাবই পড়বে না।’
যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গটি টেনে মারিয়া জাখারোভা জানান, ওয়াশিংটনের অবস্থান তার রাশিয়া বিরোধী আগ্রাসনের বহিঃপ্রকাশ যা ইউক্রেনের সঙ্কটকে আরও দীর্ঘায়িত করবে। তিনি বলেন, ‘দায়িত্বপূর্ণভাবে ক্লাস্টার বোমা ব্যবহারে ইউক্রেনের প্রতিশ্রুতি একবারেই মূল্যহীন।’
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া নিজেও এই বোমা ব্যবহার করেছে, যা বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এদিকে, মানবিক বিষয় নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো ক্লাস্টার বোমার মতো যুদ্ধাস্ত্র ইউক্রেনে পাঠানোর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
এই ক্লাস্টার বা গুচ্ছ বোমাগুলো অবিস্ফোরিত অবস্থায় থেকে যেতে পারে আর তা বছরের পর বছর ধরে বেসামরিক লোকজনের জন্য হুমকি হয়ে থাকতে পারে। শত শত ছোট স্বতন্ত্র বিস্ফোরকের সাহায্যে তৈরি এই গুচ্ছ বোমা কয়েকটি ফুটবল মাঠের সমান এলাকা ধ্বংস করে দিতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্বীকার করেছেন যে, ইউক্রেনে এই বোমা সরবরাহের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া খুবই কঠিন কাজ ছিল।