বেলারুশের সৈন্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ওয়াগনার
রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার বেলারুশের সৈন্যদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের বিরুদ্ধে ওয়াগনারের ব্যর্থ বিদ্রোহের পর গ্রুপের ভবিষ্যৎ নিয়ে কয়েক সপ্তাহের অনিশ্চয়তার পর শুক্রবার (১৪ জুলাই) এ তথ্য জানিয়েছে বেলারুশ।
ওয়াগনার যোদ্ধা ও তাদের নেতা ইয়েভজেনি প্রিগোঝিন বেলারুশে চলে যাবে রাশিয়ার সঙ্গে এমন চুক্তিতে তাদের স্বল্পকালীন বিদ্রোহের অবসান ঘটে।
বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো অবশ্য চলতি মাসের প্রথমদিকে বলেছিলেন, ‘কোনো ওয়াগনার যোদ্ধা এখনও বেলারুশে আসেনি।’ তার এ কথায় চুক্তি নিয়ে সংশয় দেখা দেয়।
শেষ পর্যন্ত বেলারুশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় শুক্রবার নিশ্চিত করে কিছু ওয়াগনার যোদ্ধা দেশটিতে পৌঁছেছে। মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ওয়াগনারের প্রশিক্ষকদের মাধ্যমে আসিপোভিচির কাছে আঞ্চলিক প্রতিরক্ষা সৈন্যদের ইউনিট প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। বেসরকারি সামরিক কোম্পানি ওয়াগনারের যোদ্ধারা বিভিন্ন সামরিক শাখায় প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করছে।
ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে অংশ নিয়েছে ওয়াগনার বাহিনী। পূর্ব ইউক্রেনের বাখমুতে লড়াইয়ে বড় ভূমিকাও রাখে এই বাহিনী। তবে, অস্ত্র সরবরাহে ঘাটতির অভিযোগ নিয়ে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু ও সামরিক প্রধান ভ্যালেরি গেরাসিমভের সঙ্গে ওয়াগনার প্রধানের প্রকাশ্য বিরোধ তৈরি হয়। এমনকি, ওয়াগনার প্রধান রাশিয়ার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে তার দলের সৈন্যদের ওপর বিমান হামলারও অভিযোগ করেন।
ওয়াগনার প্রধান ঘোষণা দেন, তিনি যেকোনো মূল্যে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর নেতৃত্বের পতন ঘটাবেন। একপর্যায়ে ইউক্রেন সীমান্ত পাড়ি দিয়ে রাশিয়ার রোস্তভ শহরের সামরিক সদর দপ্তর দখলে নেন। এরপর তিনি বাহিনী নিয়ে মস্কোর দিকে রওনা হন। রাশিয়ার কয়েকটি শহর ও সামরিক স্থাপনারও দখল নেন। পরে রাজধানী থেকে মাত্র ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থানকালে বেলারুশের সঙ্গে তার চুক্তির খবর আসে। বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় প্রিগোঝিন অভিযান বন্ধে রাজি হন। এর বিনিময়ে তাকে এবং তার সৈন্যদের নিরাপদে বেলারুশ চলে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। এছাড়া তার বিরুদ্ধে সব ফৌজদারি অভিযোগও তুলে নেওয়া হয়।