বেলারুশ সীমান্তে আরও এক হাজার সৈন্য চায় পোলিশ বর্ডার গার্ড
বেলারুশ সীমান্তে আরও এক হাজার সৈন্য চেয়েছে পোল্যান্ডের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। সীমান্তবর্তী এলাকায় শরণার্থীর সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। পোল্যান্ডের উপস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যাকিয়েজ ওয়াসিক সোমবার (৭ আগস্ট) বলেছেন, ‘পোল্যান্ড সীমান্তে শরণার্থীদের পাঠিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে প্রক্সি যুদ্ধের ক্ষেত্র তৈরি করছে রাশিয়া ও বেলারুশ।’
সংবাদমাধ্যমকে পোলিশ উপস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘হাজার হাজার শরণার্থীকে এই পথে পাঠিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে চ্যালেঞ্জের মুখে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ কারণেই বেলারুশ সীমান্তে এক হাজার নতুন গার্ড মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
২০২১ সালে পোল্যান্ড সীমান্ত অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল। কয়েক হাজার শরণার্থী পোল্যান্ড সীমান্ত দিয়ে ইউরোপে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। পোল্যান্ড তাদের ঢুকতে না দেওয়ায় দিনের পর দিন কার্যত জঙ্গলে রাত কাটাতে হয়েছে শরণার্থীদের। কয়েকজনের মৃত্যুও হয়েছিল। শরণার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছিল পোল্যান্ডের নিরাপত্তা বাহিনীর।
তখনো পোল্যান্ড ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন দাবি করেছিল, শরণার্থী পাঠিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে প্রক্সি যুদ্ধ চালানোর চেষ্টা করছে রাশিয়া ও বেলারুশ। সোমবার ফের এ অভিযোগ জানাল পোল্যান্ড।
পোল্যান্ডের সংবাদমাধ্যমকে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রধান জানান, ২০২৩ সালে এ পর্যন্ত ১৯ হাজার শরণার্থী পোল্যান্ড সীমান্ত দিয়ে ইউরোপে ঢোকার চেষ্টা করেছে। ২০২২ সালে এই সংখ্যা ছিল ১৬ হাজার। গত সোমবার (৭ আগস্ট) ১৬০ জন শরণার্থী পোল্যান্ড সীমান্তে এসেছেন। তাদের মধ্যে ১৪৭ জন সীমান্ত পার হওয়ার চেষ্টা করেছেন। এ পরিস্থিতিতে সীমান্ত সুরক্ষিত রাখার জন্য আরও নিরাপত্তা বাহিনী প্রয়োজন।
পোল্যান্ড সীমান্তে বর্তমানে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পাঁচ হাজার এবং সেনাবাহিনীর দুই হাজার সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এ সংখ্যাটি আরও বাড়ানো হচ্ছে।
এছাড়া ওয়াগনার সেনা বেলারুশে যাওয়ার পরেও পোল্যান্ড সীমান্তে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। ওয়াগনার সেনারা পোল্যান্ড সীমান্তে উত্তেজনা তৈরি করতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। শরণার্থীদের সামনে রেখে পেছন থেকে আক্রমণ হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।