বিচার বিভাগ ঢেলে সাজাতে ভোটের আগে ইসরাইলে ব্যাপক বিক্ষোভ

Looks like you've blocked notifications!
ইসরায়েলের তেল আবিবে বিচার বিভাগ সংস্কারের বিরুদ্ধে শনিবারের বিক্ষোভে অংশ নেয় হাজার হাজার প্রতিবাদী জনতা । ছবি : এএফপি

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর বিতর্কিত বিচার বিভাগ ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনার বিরুদ্ধে শেষবারের মতো শক্তি প্রদর্শনের অংশ হিসেবে ১০ হাজারেরও বেশি ইসরায়েলি জেরুজালেমে পৌঁছেছে। এ ছাড়া তেল আবিবের রাস্তাগুলোতেও জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে জনতা।

ইসরায়েলের পার্লামেন্টে আজ রোববার (২৩ জুলাই) প্রস্তাবের ওপর বিতর্ক শুরু হয়েছে আর আগামীকাল সোমবার অনুষ্ঠিত হবে ভোটাভুটি, যেখানে মনে করা হচ্ছে প্রস্তাবের বেশিরভাগ অংশই আইনে পরিণত হবে। এদিকে যতই দিন ঘনাচ্ছে প্রতিবাদে ফুঁসে উঠছে ইসরায়েলিরা। খবর আলজাজিরার।

সরকার ও মন্ত্রিসভার ‘অযৌক্তিক’ সিদ্ধান্ত বাতিলে সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা খর্ব করতেই এই বিলটি আনা হয়েছে। সমালোচকরা বলছেন আইনসভার এই সিদ্ধান্ত ইসরায়েলের গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি হিসেবে দেখা দেবে।

জেরুজালেমে শনিবারের র‌্যালিতে ইসরায়েলের সাদা ও নীল পতাকা নিয়ে অংশ নেওয়া প্রতিবাদকারীদের অবস্থান জনসমুদ্রে রূপ নেয়। বিক্ষোভকারীদের ৭০ কিলোমিটার পথযাত্রা তেল আবিব থেকে শুরু হয়ে ইসরায়েলের পার্লামেন্ট ভবনের কাছে গিয়ে পৌঁছে। পথযাত্রাটি যত এগিয়ে যাচ্ছিল ততই সেটিকে অভ্যর্থনা জানিয়ে উৎফুল্ল প্রতিবাদীদের সারি দীর্ঘ হচ্ছিল। আর শেষে গিয়ে তারা পার্লামেন্টের (নেসেট) বাইরে ছোট ছোট তাঁবু টানিয়ে অবস্থান নেয়।

ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চল থেকে নিজের সঙ্গিনী ও দুই সন্তান নিয়ে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ইডো গোলান বলেন, ‘গণতন্ত্র এখন আর সুনিশ্চিত নয় এখানে। গণতন্ত্রকে বাঁচাতে আমাদের ও তাদের জন্য আমরা যা করছি, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

এদিকে গতকাল শনিবার দেশটির বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক রাজধানী তেল আবিবের রাস্তাগুলোতে জমায়েত হন হাজার হাজার প্রতিবাদী। এ ছাড়া বিরশেবা, হাইফা ও নেতানিয়া শহরেও অনুষ্ঠিত হয় বিক্ষোভ।

তবে, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ও তার কট্টর ডানপন্থী সরকার দাবি জানিয়ে আসছেন যে, বিচার বিভাগ পুনর্গঠনে এই বিলটি নেসেটে তোলা হয়েছে অনির্বাচিত বিচারকদের অতিরিক্ত ক্ষমতা খর্ব করতে। তবে সমালোচকরা বলছেন এই পরিকল্পনা ইসরায়েলে ক্ষমতার ভারসাম্য ধ্বংস করে দেবে এবং দেশ কর্তৃত্ববাদী শাসনের পথে এগিয়ে যাবে।