মেক্সিকোতে বাস দুর্ঘটনায় ১৮ জন নিহত 

Looks like you've blocked notifications!
মেক্সিকোর নায়ারিত রাজ্যের টেপিকের কাছে বৃহস্পতিবার সড়ক দুর্ঘটনাস্থলে কাজ করেন উদ্ধারকারীরা। ছবি : এএফপি

মেক্সিকোর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে গেলে কমপক্ষে ১৮ জন নিহত এবং অন্তত ২৩ জন আহত হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) এ ঘটনা ঘটে। খবর এএফপির।

দেশটির নায়ারিত রাজ্যের সিভিল প্রোটেকশন এজেন্সি জানায়, নিহতদের মধ্যে তিনজন শিশু রয়েছে।

বাসটি প্রায় ৪০ জন যাত্রী নিয়ে মেক্সিকো সিটি থেকে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় টিজুয়ানা যাচ্ছিল। সান দিয়েগোর সীমান্তবর্তী এ অঞ্চল থেকে অসংখ্য অভিবাসী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের চেষ্টা করে।

সিভিল প্রোটেকশন এজেন্সির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বাসটির অধিকাংশ যাত্রী বিদেশি। ভারত, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র ও আফ্রিকা মহাদেশের দেশগুলো থেকে আগত, বাকিদের মধ্যে কেউ কেউ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেওয়ার জন্য টিজুয়ানা যাচ্ছিলেন।’

সংস্থাটি আরও জানায়, ‘চালককে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানোর সন্দেহে আটক করা হয়েছে। দ্রুতগতির ফলে সম্ভবত গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাজ্যের রাজধানী টেপিকের কাছে একটি বাঁধের নিচে পড়ে যায়।’

মেক্সিকোতে প্রায়ই মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। সাধারণত উচ্চগতি, গাড়ির বাজে অবস্থা বা চালকের ক্লান্তির কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটে। এ ধরনের দুর্ঘটনাগুলো যুক্তরাষ্ট্রে স্থলপথে বিপজ্জনকভাবে প্রবেশ করতে চাওয়া অভিবাসীদের মৃত্যুর একটি প্রধান কারণ।

ফেব্রুয়ারিতে মেক্সিকোর দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য ওক্সাকা এবং মধ্য পুয়েব্লার মধ্যবর্তী স্থানে একটি বাস দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১৭ জন নিহত হয়, যাদের মধ্যে ভেনিজুয়েলা, কলম্বিয়া ও মধ্য আমেরিকার অভিবাসী ছিল।

জুলাইয়ে ওক্সাকাতে একটি যাত্রীবাহী বাস পাহাড়ি রাস্তা থেকে ছিটকে খাদে পড়ে গেলে কমপক্ষে ২৯ জন নিহত হয়।

২০২১ সালের ডিসেম্বরে দক্ষিণাঞ্চলীয় চিয়াপাস রাজ্যের একটি মহাসড়কে ১৬০ জন অভিবাসী বহনকারী একটি ট্রেলার দুর্ঘটনায় ৫৬ জন মারা যায়, যাদের বেশির ভাগই ছিলেন গুয়াতেমালার।