হিমাচলে অতিবৃষ্টি ও ভূমিধসে নিহত ২১, বন্যায় ভেসে গেল সাত জন

Looks like you've blocked notifications!
ভারতের হিমাচল প্রদেশে অতিবৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যার ছবিটি প্রদেশটির মুখ্যমন্ত্রী সুখভিন্দের সিং সুকু পোস্ট করা ভিডিও থেকে নেওয়া

ভারতের হিমাচল প্রদেশে গত দুই দিনে অতিবৃষ্টিতে সৃষ্ট ভূমিধস ও বন্যায় ২১ জন নিহত হয়েছে। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে অতিবৃষ্টিতে সম্পর্কিত তিনটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়েছে। অতিবৃষ্টিতে সৃষ্ট প্রবল বন্যার তীব্র স্রোতে সাত জন ভেসে গেছে। এসব তথ্য নিশ্চিত করে হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখভিন্দের সিং সুকু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। মান্দি জেলার সাম্বাল গ্রামের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে উদ্ধারকারী দল। 

আজ সোমবার (১৪ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।

টুইটারে দেওয়া ওই পোস্টে সুখভিন্দের সিং সুকু লেখেন, ‘মান্দি জেলার সাম্বল ও পান্ডোতে উদ্বেগজনক ভিজ্যুয়াল আবির্ভূত হয়েছে। তথ্যানুযায়ী, সাত ব্যক্তি আকস্মিক বন্যায় ভেসে গেছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি মোকাবিলায় উদ্ধার, অনুসন্ধান ও ত্রাণ কার্যক্রম চলছে।’

প্রতিবেদনে ভারতীয় গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, এর আগে হিমাচলের দুটি স্থানে অতিবৃষ্টি সম্পর্কিত দুই ঘটনায় ১৬ জন প্রাণ হারান। এর মধ্যে রোববার (১৩ আগস্ট) রাতে সোলান জেলায় সাত জন নিহত হন। আর শিমলা শহরের শিব মন্দিরের পাশের পাহাড়ি এলাকায় আরও নয় জন মারা যান।

এদিকে, হিমাচলের বাসিন্দাদের বাড়িতে থাকার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী সুখভিন্দের সিং সুকু। এ ছাড়া ড্রেন বা নদীর কাছাকাছি যেতে নিষেধ করেছেন তিনি। এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘ভূমিধস হতে পারে এমন জায়গা থেকে আপনারা সরে যান। দয়া করে এই সংকটময় সময়ে পর্যটকরা আসবেন না।’

শিমলা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার আদিত্য নেগি সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘শিমলাতে ১৫ থেকে ২০ জন ভূমিধসে মাটির নিচে চাপা পড়েছে। এ ছাড়া ফাগলি এলাকায় অনেক বাড়িঘর কাঁদা মাটির নিচে চাপা পড়েছে।’

আরেক সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, সোলান জেলার কান্ডাগাটের মামলিগ গ্রাম থেকে ছয় জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। দুটি বাড়ি ও গোয়ালঘর তীব্র স্রোতে ভেসে গেছে। জরুরি উদ্ধারকারী দলের তথ্য মতে, অতিবৃষ্টিতে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রদেশটির ৭৫২টি রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে।

বৃষ্টি আরও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ। আজ সংস্থাটি থেকে বলা হয়, হিমাচল ও উত্তরাখণ্ডে আরও বৃষ্টি হবে। আরব সাগরের মৌসুমি বায়ু হিমালয়ের পাদদেশে আঘাত করার কারণে বৃষ্টিপাত হচ্ছে।