যুক্তরাজ্যের বার্ষিক মূল্যস্ফীতি ১৫ মাসের মধ্যে সর্বনিম্নে

Looks like you've blocked notifications!
যুক্তরাজ্যের একটি সুপার মার্কেটে পণ্য কিনছে একজন ক্রেতা। ছবি : এএফপি

যুক্তরাজ্যের বার্ষিক মূল্যস্ফীতির হার কমেছে। গত জুলাইয়ে দেশটির মূল্যস্ফীতির হার ১৫ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে ছিল। আজ বুধবার (১৬ আগস্ট) তথ্যের বরাতে কর্তৃপক্ষ এ তথ্য প্রকাশ করেছে। জ্বালানির দাম কমে যাওয়ায় এমনটি হয়েছে। অর্থনীতিবিদদের প্রত্যাশা অনুযায়ী বিষয়টি সামঞ্জস্যপূর্ণ। খবর এএফপির।

প্রতিবেদনে ফরাসি সংবাদ সংস্থাটি জানিয়েছে, দেশটির সরকারি পরিসংখ্যান ব্যুরো ওএনএস বলছে, গত জুলাইয়ে ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) বার্ষিক হার গিয়ে দাঁড়ায় ছয় দশমিক আট শতাংশে। তার আগের মাসে অর্থাৎ, জুনে যা ছিল সাত দশমিক ৯ শতাংশ। জুলাইয়ে দাম বৃদ্ধির বিষয়টি বিশ্লেষকদের ভবিষ্যদ্বাণীর সঙ্গে মিলে গেছে। এ ছাড়া ব্যাংক অব ইংল্যান্ডও যে আশা করেছিল তাই হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকটি পূর্বাভাস দিয়েছিল, মূল্যস্ফীতি ছয় দশমিক আট শতাংশে থাকবে। 

যতটুকু আশা করা হয়েছিল গত জুনে ভোক্তা মূল্য সূচক তার থেকে বেশি কমেছে। মাসটিতে ভোক্তা মূল্য সূচক কমেছিল শূন্য দশমিক আট শতাংশ।

প্রতিবেদনে এএফপি আরও জানিয়েছে, মূল্যস্ফীতি কমাতে ১২ বারের বেশি সুদের হার বাড়িয়েছে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড। কমলেও মূল্যস্ফীতিতে এখনও ধনী দেশগুলোর সংগঠন জি-৭ সদস্যদের মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য।

দেশটিতে গত জুলাইয়ে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম কমেছিল। তবে, খাদ্যের দাম ঊর্ধ্বমখী ছিল। কিন্তু, আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় খাদ্যের দাম কম ছিল।

ওএনএসের উপপরিচালক ম্যাথু কোরডের বলেন, ‘গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম কমায় টানা দুই মাস মূল্যস্ফীতি কমল। যদিও খাবারের দাম ঊর্ধ্বমুখী। বিশেষ করে দুধ, পাউরুটি ও শিশুখাদ্যের দাম বেড়েছে।’

যুক্তরাজ্যের অর্থনীতির বেহাল অবস্থার মধ্যেই ২০২২ সালের শেষের দিকে দেশটির ক্ষমতায় আসেন ঋষি সুনাক। দেশটির এই প্রধানমন্ত্রী ২০২৪ সাল নাগাদ মূল্যস্ফীতি পাঁচ শতাংশে রাখার জন্য লক্ষ্য স্থির করেছেন। তবে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পূর্বাভাস, আগামী মাসেই মূল্যস্ফীতি ফের বাড়বে। এর মূলে রয়েছে সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধি।

এদিকে, সিপিআইয়ের ডেটাকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের অর্থমন্ত্রী জেরমি হান্টার। তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও এই লড়াই শেষ করতে পারিনি। এমনকি শেষ দিকেও নেই। শিগগিরই আমরা মূল্যস্ফীতি দুই শতাংশে নিয়ে আসবো ও নিজেদের লক্ষ্য পূরণ করব।’