যে কারণে প্রায় দেড় হাজার দণ্ডপ্রাপ্ত বন্দিকে মুক্তি দিচ্ছে হাঙ্গেরি

Looks like you've blocked notifications!
কারাগারের প্রতীকী ছবিটি ফ্রিপিক থেকে নেওয়া

মধ্য ইউরোপের দেশ হাঙ্গেরি কারাগার থেকে প্রায় দেড় হাজার দণ্ডপ্রাপ্তকে মুক্তি দিচ্ছে। আজ বুধবার (২৩ আগস্ট) দেশটির কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে। মুক্তি পাওয়া দণ্ডপ্রাপ্তরা সবাই মানব পাচারকারী। তবে হাঙ্গেরির এই পদক্ষেপটি চ্যালেঞ্জ করেছে ইউরোপীয় কমিশন । খবর এএফপি।

গত এপ্রিলে হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান মানব পাচারকারীদের কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়ার ঘোষণা দেন। পাশাপাশি মুক্তি পাওয়াদের দেশ ছাড়তে তিন দিনের আল্টিমেটাম দেন। এর জেরে গত মাসে ইউরোপীয় কমিশন হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করে।

হাঙ্গেরি বলছে, বর্তমানে তাদের কারাগারগুলো বন্দিতে পরিপূর্ণ। জেলে ৭৩টি দেশের দুই হাজার ৬০০ বন্দি রয়েছে, যা মোট বন্দির ১৩ শতাংশ। দেশের করদাতাদের অর্থ বন্দিদের পেছনে খরচ করা অযৌক্তিক।

মধ্য ইউরোপের দেশটির কারা কর্তৃপক্ষ এক মেইলে এএফপিকে জানায়, ‘আমরা কারাগার থেকে এক হাজার ৪৬৮ বন্দিকে মুক্তি দিয়েছি। সবাই বিদেশি নাগরিক ও মানব পাচারের অভিযোগে অভিযুক্ত।’ দেশটির উপস্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বেঞ্চে রেটভারি বলেন, ‘মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে হাঙ্গেরির এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ সীমান্ত রক্ষায় ইউরোপীয় কমিশন আমাদের কোনো অর্থ দেয় না। তবে, জেলের খরচ আমাদের জনগণকে বহন করতে হয়।’

বিষয়টি নিয়ে ইইউর একজন নির্বাহী বলেন, ‘হাঙ্গেরি থেকে মুক্তি পাওয়া মানব পাচারকারীরা তাদের বাকি সাজা নিজের দেশে গিয়ে কাটাবে কি-না তা নির্ধারণ বা পর্যবেক্ষণের জন্য আমাদের কোনো নিয়ম নেই।’

এদিকে, হাঙ্গেরির এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে প্রতিবেশী দেশ অস্ট্রিয়া। পাশাপাশি সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করার কথা জানিয়েছে তারা।

অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আশ্রয় নিয়ে ইইউর আইন মানছে না হাঙ্গেরি। এমনকি, বিষয়টি ব্লকের কাছে গোপন রাখছে তারা। এর জেরে গত জুনে ইইউর সর্বোচ্চ আদালত হাঙ্গেরির বিরুদ্ধে একটি রুল জারি করে। সেই রুলের জবাব দেওয়ার জন্য আর দুই মাস সময় রয়েছে দেশটির হাতে।