প্রিগোজিনকে হত্যার দায় অস্বীকার রাশিয়ার
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় গত ২৩ আগস্ট রাশিয়ার ভাড়াটে সৈন্যদল ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন নিহত হন। গত জুনে বিদ্রোহ করা প্রিগোজিনকে মস্কোর মদদেই হত্যা করা হয়েছে বলে অনেকে দাবি করছেন। এ ঘটনার সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের হাত রয়েছে বলে ইঙ্গিতও দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে, প্রিগোজিনকে হত্যার পেছনে মস্কোর কোনো হাত নেই বলে জানিয়েছে ক্রেমলিন। আজ শুক্রবার (২৫ আগস্ট) এ তথ্য জানিয়েছে ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপি।
আজ এক সংবাদ সম্মেলনে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা এবং ইয়েভজেনি প্রিগোজিনসহ যাত্রীদের মর্মান্তিক মৃত্যুকে ঘিরে অনেক জল্পনা-কল্পনা চলছে। পশ্চিমারা এই জল্পনাকে একটি নির্দিষ্ট দৃষ্টিকোণ থেকে উপস্থাপন করছে। তাদের দাবি, সম্পূর্ণ মিথ্যা।’
প্রতিবেদনে এএফপি জানিয়েছে, মস্কোর শীর্ষস্থানীয়দের বিরুদ্ধে ওয়াগনার গ্রুপের বিদ্রোহের দেওয়ার ঠিক দুমাস পর প্রিগোজিনের সঙ্গে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। ওয়াগনারের বিদ্রোহকে পুতিনের দীর্ঘ শাসনামলে সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন পর্যবেক্ষকরা।
প্রিগোজিনের মৃত্যুর প্রায় ২৪ ঘণ্টা পর বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন পুতিন। দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান তিনি। প্রিগোজিনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি তাকে দীর্ঘ সময় ধরে চিনি। সেই নব্বইয়ের দশকের শুরু থেকে। তবে, এই মানুষটির ভাগ্য খারাপ ছিল। জীবনে তিনি মারাত্মক কিছু ভুল করেছিলেন।’
এদিকে, উড়োজাহাজটিতে থাকা নিহতদের স্বজনেরা তাদের চিহ্নিত করেছেন। কিন্তু, ৬২ বছর বয়সী প্রিগোজিনকে এখনও চিহ্নিত হয়নি। তবে, রুশ এভিয়েশন এজেন্সির তথ্য মতে, ওই উড়োজাহাজটিতে থাকা ১০ জনই মারা গেছেন এবং যাত্রীর তালিকায় ওয়াগনার প্রধান ছিলেন। এ বিষয়ে পেসকভ বলেন, ‘খুব শিগগিরই সমস্ত ফলাফল প্রকাশ করা হবে।’
পুতিন প্রিগোজিনের শেষকৃত্যে থাকবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে পেসকভ বলেন, ‘আগে তদন্ত শেষ হওয়া জরুরি। তবে, প্রেসিডেন্ট বর্তমানে খুব ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।’